কৃষিপণ্যের রপ্তানি সম্প্রসারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এসআরও ১২৯ এর আওতায় বিদ্যমান সুবিধার অতিরিক্ত আরও ৪০টি আইটেমে শুল্ক সুবিধা প্রয়োজন। বিশেষ করে কৃষি যন্ত্রপাতি, প্যাক হাউজ তৈরির যন্ত্রপাতি, কৃষিপণ্যের প্যাকিং ম্যাটেরিয়ালস, ল্যাবরেটরি যন্ত্রপাতি, কুল চেইন প্রতিষ্ঠা সংশ্লিষ্ট মেশিনারিজ ও যানবাহনে শুল্ক কর ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা, কৃষি উপকরণ ছাড়করণের ক্ষেত্রে বন্ড সুবিধা প্রদান এবং পণ্য রি-এক্সপোর্টের সুবিধা প্রদানে রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতা প্রয়োজন।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
এদিন ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের সার্টিফিকেট অব মেরিট সম্মাননা পায় কৃষি মন্ত্রণালয়। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী থেকে এ সম্মাননা সনদ গ্রহণ করেন কৃষিসচিব।
এসময় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিসচিব বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় যে সম্মান অর্জন করছে তা আগামী দিনে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রেখে একটি কার্যকর উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক মানের বিপণন ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে উৎসাহিত করবে।
দেশের কৃষিখাতের সাফল্য তুলে ধরে সচিব বলেন, উৎপাদনযোগ্য জমি হ্রাস পেলেও, কৃষিতে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির প্রয়োগ ও উচ্চ ফলনশীল জাতের চাষাবাদ এবং কৃষকের শ্রমে কৃষিতে এক অভাবনীয় সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এখন আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত শাক-সবজি ও ফল বিদেশে রপ্তানি করছি।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক মন্দার প্রেক্ষাপটেও আমরা প্রতি বছর কম-বেশি প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছি। পাশাপাশি কৃষকদের প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে ডাল ও তেল জাতীয় ফসল এবং পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। যা একদিকে আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে ভূমিকা রাখছে। অন্যদিকে এসব পণ্যের সাপ্লাই ক্রাইসিস ব্যবস্থাপনা সহজতর করেছে।
কৃষিসচিব বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় এখন উৎপাদন ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বাণিজ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করছে। রপ্তানি বৃদ্ধি ও আমদানি প্রক্রিয়া টেকসই করার কাজ চলছে।