ক্যাটাগরি: শিল্প-বাণিজ্য

ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে ৫০ কোটি ডলার আয় বাড়ানো সম্ভব

আন্তর্জাতিক বাজারে তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে ক্রেতাদের কাছ থেকে দাম কমানোর জন্য নানামুখী চাপে আছেন পোশাক শিল্প মালিকরা। ফলে উৎপাদক ও ব্র্যান্ডের মাঝে যেসব মধ্যস্বত্বভোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, দাম কমানোর ক্ষেত্রে তাদের এড়িয়ে চলতে চায় তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তাই ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসায়িক কার্যক্রম (ক্রয়াদেশ গ্রহণ) পরিচালনা করতে চায় সংস্থাটি। এটি করতে পারলে পোশাক খাতে ৫০ কোটি ডলার রফতানি আয় বাড়বে। ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম চালু হতে সময় লাগতে পারে অন্তত এক বছর।

গতকাল রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ‘এস্টাবলিশিং আ ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস প্লাটফর্ম ফর দি অ্যাপারেল সেক্টর: বিজনেস ফিজিবিলিটি অ্যান্ড পলিসি ল্যান্ডস্কেপিং’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। আইএফসি ও লাইট ক্যাসেল পার্টনার্স এ গবেষণা পরিচালনা করে। অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন লাইট ক্যাসেল পার্টনার্সের সিনিয়র বিজনেস কনসালট্যান্ট ও প্রজেক্ট ম্যানেজার দীপা সুলতানা।

গবেষণায় বলা হয়, একটি মার্কেটপ্লেস তৈরি করলে দেশের পোশাক খাত আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে। এছাড়া বাড়বে কর্মসংস্থান। রফতানি আয়ে একটি টেকসই অবস্থান তৈরি হবে, যা বছরে বাড়তে পারে অন্তত ৫০ কোটি ডলার।

বিজিএমইএ নেতারা জানান, দেশের ই-কমার্স পলিসি আন্তর্জাতিক পরিসর উপযোগী নয়, রয়েছে পেমেন্ট গেটওয়ের বাধা। বর্তমান আইন অনুযায়ী অগ্রিম টাকা নিতে না পারার কারণে মূলধন লাগবে অনেক বেশি। তবে অনলাইন প্লাটফর্মে গেলে বিদেশী ক্রেতাদের অনৈতিক আবদারে দাম কমানোর চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তা করতে পারলে বছরে ৫০ কোটি ডলার রফতানি আয় বাড়বে।

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে ক্রেতারা ভার্চুয়াল মার্কেটের প্রতি বেশি অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব কেনাকাটার বিকল্প হিসেবেও ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস সমাদৃত। বিগত ৪৫ বছরে বাংলাদেশ বিশ্ব ফ্যাশন বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। কিন্তু গ্লোবাল ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের জন্য উৎপাদন সত্ত্বেও বাংলাদেশ নিজস্ব ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা এর পরিবর্তন করতে চাই। আমরা নিজেদের অরিজিনাল ব্রান্ড ম্যানুফ্যাকচারার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আর ডিজিটাল প্লাটফর্ম হতে পারে আমাদের জন্য একটি কৌশলগত এন্ট্রি পয়েন্ট।

বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রেস, পাবলিকেশন অ্যান্ড পাবলিসিটির চেয়ারম্যান শোভন ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমরা কিছু খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে কিছুটা বন্দি অবস্থায় রয়েছি। যেসব খুচরা ব্যবসায়ী বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পণ্য নেন, তারা আমাদের সঙ্গে এক রকম প্রতিযোগিতা করছেন। এখন আমরা পণ্যের ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করে দিতে পারব না। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু আমরা যখন অনলাইন মার্কেটে আসব, তখন এ সমস্যা আর থাকবে না।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার