পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে জটিলতা এড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যে প্রবেশাধিকার চান ব্যবসায়ীরা। এ তথ্যের বিনিময়ে ব্যবসায়ীরা অর্থ পরিশোধ করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুল মুক্তাদির।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাড়তি রাজস্ব আদায়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দেওয়ারও আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম প্রমুখ।
আবদুল মুক্তাদির বলেন, এনবিআরের কাছে যে তথ্য রয়েছে তা খুবই মূল্যবান। তবে অর্থ দিয়ে হলেও ব্যবসায়ীদের এ তথ্য পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তথ্যে প্রবেশাধিকার থাকলে, জানা যাবে কোথায় সমস্যা রয়েছে এবং এজন্য কি কাজ করতে হবে।
আবদুল মুক্তাদির বলেন, একটা পণ্য আমদানির জন্য ৭-৮ মাস কাজ করতে হয়। তার আগে খালাস করা সম্ভব হয় না। এটা যদি সিঙ্গেল উইন্ডো এর আন্ডারে আনা যায় তাহলে, এটা ওষুধ শিল্পের জন্য অনেক বড় ফেবার হবে। সামান্য ভুলেও পণ্য আমদানিতে ভোগান্তি পোহাতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এলসির পরিমাণে ভুল সংশোধন করতে গেলে ৩ সপ্তাহ সময় লেগে যায়। ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানিতে শুল্ক ১ শতাংশ দিতে হয়। জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে বায়ো রিয়েক্টর তৈরি করা হয়েছে। কেউ যদি এটা আমদানি করতে চায় তিনি ১ শতাংশ দেয়, আর যখন আমি এর উপাদান আমদানি করি তখন আমাকে ৬০ শতাংশ দিতে হয়। তাহলে কোনভাবেই প্রতিযোগিতা করা সম্ভব নয়।
সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় অত্যন্ত কম খরচে আমরা রাজস্ব আদায় করে থাকি। সক্ষমতা বাড়ানোর জায়গায় আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগ বেশি করলে রাজস্ব আদায়ের পরিমান বৃদ্ধি পাবে। রাজস্ব বোর্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগে আরও আন্তরিক জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়কে অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর থেকে বিভিন্ন খাত থেকে ইনসেন্টিভ প্রত্যাহার করতে হবে। তাতে যে শিল্পের সক্ষমতা কমে যাবে তা নয়। সহযোগিতা যখন উঠে যাবে তখন সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়বে, শিল্পের সক্ষমতা বাড়বে।