ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও তার স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ তসরুজ্জামান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় মঞ্জুর আলম শিকদারকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। তবে তার স্ত্রী এ সময় পলাতক ছিলেন।
গত ১৩ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে মঞ্জুর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৯টি মামলায় ওয়ারেন্ট মূলে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। পরদিন ১৫ জানুয়ারি তিনি এসব মামলায় জামিন পান।
এরআগে, তাকে গ্রেপ্তারের পর মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার রিফাত রহমান শামীম গণমাধ্যমকে বলেন, মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনেও মামলা আছে। এই মামলার বাদী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে।
সিআইডির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি।
‘আছি তো আমরা আছি তো’ স্লোগান নিয়ে বাজারে আসে প্রতিষ্ঠানটি। যাত্রা শুরুর পর কম দামে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য সরবরাহের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে বহু গ্রাহককে পণ্য না দিয়ে কিংবা টাকা ফেরত না দিয়ে ই-কমার্স ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে তারা টাকা পাচার (মানি লন্ডারিং) করেছে বলে দাবি সিআইডির।
আলেশা মার্টের প্রতারণার বিষয়ে সিআইডি জানায়, আলেশা মার্টের চারটি বেসরকারি ব্যাংক হিসাব থেকে ৪২১ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩১ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ কেনা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৫ আগস্টের মধ্যে এই সম্পদ কেনা হয়।
কাফি