ব্যবসায়ীদের চালের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তিই গ্রহণযোগ্য না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন,বাজার অস্থির করলে যত শক্তিশালী লোকের আত্মীয় হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, হঠাৎ দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করলে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। মিলগেটে বিক্রয় করা চালের বস্তায় তারিখ ও দাম উল্লেখ করতে হবে। সারা দেশে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।
কৃষককে ন্যায্যমূল্য দিতেই সরকার কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে থাকে। এখন কৃষকের কাছে ধান নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অনেক হাসকিং মিলে ঘাস গজিয়েছে, বিদ্যুতের সংযোগ নেই-এমন মিলেও অবৈধ মজুত পাওয়া যাচ্ছে।
ধানের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে প্রায়ই মিলাররা অভিযোগ করেন। কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখবেন, চালের বা ধানের ব্যবসায় ক্যাপাসিটির সবটুকুই ধরে রাখা যাবে না। একটা অংশ ক্রাসিং হবে আর একটা অংশ বাজারজাত হবে। সব মিলিয়ে ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করা হয়।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার এখন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষকে শান্তিতে রাখা। অনেক রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাই আন্তরিকতার সাথে কাজ করলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে খুব শীঘ্রই।
জেলা কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বাদশা, খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান এবং রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।