২০৪০ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারের উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তবে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে পাঁচ শর্তে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এগুলো হচ্ছে মুদ্রার বিনিময় হার এবং মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা, রপ্তানি পণ্যের বাজার বহুমুখীকরণ, আর্থিক খাতে সুশাসন ও ব্যবসায় আস্থা বাড়ানো, পুঁজিবাজারের ওপর মানুষের আস্থা ও নির্ভরতা নিশ্চিত করা এবং কর্মসংস্থান উপযোগী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেল আয়োজিত সেমিনারে ড. আতিউর রহমান এসব কথা বলেন।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জয়েন্ট চেম্বার ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) এই সেমিনারের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি জাভেদ আখতারের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. আতিউর রহমান। ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও এই সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এ জন্য বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল, মূল্যস্ফীতি কমানোসহ টেকসই জ্বালানি নিশ্চিত করতে হবে।
এ ছাড়া পাঁচ শর্তে অগ্রাধিকার দেওয়া গেলে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি নিয়ে ট্রিলিয়ন ডলার ছুঁয়ে যাবে। আতিউর রহমান বলেন, ‘এই দেশের অনেক সম্ভাবনা আছে। বিশাল ভোক্তা বাজার। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে মানুষের পার ক্যাপিটা বেড়েছে চার গুণের চেয়ে বেশি।
ফলে সঠিক অগ্রাধিকার দিয়ে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে ২০৪০ সালে দেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলার ছোঁবে। ফিকির সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, দেশের টেকসই বিনিয়োগের জন্য টেকসই জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ জন্য পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে শুধু সরকারের ওপর নির্ভরশীল হলে হবে না, বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন উপস্থিত অতিথিরা।
তাঁরা ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা হিসেবে মুদ্রার বিনিময় হার, মূল্যস্ফীতির বিষয় তুলে ধরেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, বাংলাদেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, চামড়া এবং সোলার প্লান্টে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ থাকলেও বড় বাধা টেকসই জ্বালানি।