পুঁজিবাজারের লেনদেনে গতি ফিরে আসায় আরও ২৩টি কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোরপ্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তাতে মাত্র ১২ কোম্পানির ওপর এখন ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকবে।
আজ সোমবার বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন করে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওয়া কোম্পানিগুলো হলো- বারাকা পাওয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, বিএসআরএম স্টিল, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডিবিএইচ, ডরিন পাওয়ার, এনভয় টেক্সটাইল, এইচআর টেক্সটাইল, আইডিএলসি, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, কেডিএস এক্সেসরিজ, কাট্টলি টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল পলিমার, পদ্মা অয়েল, সায়হাম কটন, শাশা ডেনিমস, সোনালী পেপার, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিকস, সামিট পাওয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ৩৫টি কোম্পানি বাদে বাকি সব কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি। ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের দ্বিতীয় দিনে বাজারে গতি ফেরায় আরও ২৩ কোম্পানি থেকে সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আগামীকাল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৭ জুন জারি করা আদেশ মোতাবেক ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া সব সিকিউরিটিজের জন্য সার্কিট ব্রেকারের ঊর্ধ্বসীমা প্রযোজ্য হবে। তবে এখনো ফ্লোরপ্রাইস বহাল থাকা কোম্পানির উপর সার্কিট ব্রেকারের ঊর্ধ্ব-নিম্ন উভয় সীমা প্রযোজ্য হবে।
শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সব শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছিল। ফ্লোর প্রাইস ছিল এমন একটা ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থা তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়েছিল। এর ফলে কোনো শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের বেঁধে দেওয়া দামের নিচে নামার সুযোগ ছিল না।
অর্থসংবাদ/এমআই