নির্বাচনের মাসখানেক আগে ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। ক্ষেত্রবিশেষে সেটা কার্যকরও হয়। তবে নির্বাচনের পর আবারও বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। এখন নির্ধারিত ৬৫০ টাকা দামে গরুর মাংস বিক্রি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা গণমাধ্যমকে বলেন, এখন থেকে গরুর মাংসের কোনো নির্ধারিত দাম থাকবে না। কারণ, নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করতে গিয়ে অনেক ব্যবসায়ী লোকসানের শিকার হচ্ছেন। বাজারের চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে মাংসের দাম নির্ধারিত হবে। তবে ক্রেতাদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে মাংসের দাম যতটুকু সম্ভব কমিয়ে রাখা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাংস ব্যবসায়ীদের এ সিদ্ধান্তের আগেই বাজারে গরুর মাংসের দাম অনেকটা বেড়েছে। এখন বিভিন্ন জায়গায় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। কোথাও কোথাও ৬৫০ টাকায় পাওয়া গেলেও তাতে মাংসের সঙ্গে হাড় ও চর্বির পরিমাণ বেশি দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গত এক মাসে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আবার একটানা ৯ বছর বৃদ্ধির পর দেশে প্রথমবারের মতো মাংসের উৎপাদনও কমেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) ৫ লাখ ৫৫ হাজার টন মাংস কম উৎপাদিত হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে দেশে প্রতিবছর মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। গত অর্থবছরই প্রথম উৎপাদন কমেছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে মাংসের উৎপাদন ছিল ৯২ লাখ ৬৫ হাজার টন। গত বছর তা কমে দাঁড়ায় ৮৭ লাখ ১০ হাজার টনে।
অর্থসংবাদ/এমআই