তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পাবনা ও নাটোর জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সোমবার (২২ জানুয়ারি) পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া লালমনিরহাটে কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান স্থগিত করেছে শিক্ষা বিভাগ। এরমধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সোম ও মঙ্গলবার দুই দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক মোহাম্মদ ইউসুফ রাজা ও নাটোর জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পাবনার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালকের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ২২ জানুয়ারি (সোমবার) পাবনা জেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলো। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।’
নাটোর জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদুজ্জামান জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে নাটোরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় সম্ভাবনা থাকায় জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সোমবার পাঠদান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
এই দুই জেলার বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে অন্যান্য কাজের জন্য উপস্থিত থাকবেন।
অপরদিকে সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় লালমনিরহাট জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা থাকার কারণে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ পাঠদান স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
লালমনিরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কারণে সোম ও মঙ্গলবার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে টানা শৈত্য প্রবাহের কারণে কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ১৬ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথক নির্দেশনায় জানায়, কোনো জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেই জেলায় বিদ্যালয় বন্ধ রাখা যাবে।