আমাদের দেশে পেটের নানা সমস্যা ভুগে থাকেন অধিকাংশ মানুষই। এর মধ্যে অন্যতম হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। এই সমস্যা অনেকেরই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শীত এলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এর কারণ কী বলুন তো? কারণ হলো, শীতের সময়ে অত হিসাব-নিকাশ করে খাওয়া হয় না। এসময় বিভিন্ন পিঠা-পুলি, মসলাদার খাবার বেশি খাওয়া হয়। শীতের মজাদার সব সবজির বদলে এগুলো খাওয়ার ফলে দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। একথা তো সত্যি যে নিয়মিত সবজি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় ভুগতে হয় না।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে গেলে তা পাইলসের কারণ হতে পারে। যে কারণে অনেকে রাতে ঘুমের আগে ইশবগুলের ভুসি খেয়ে ঘুমান। এছাড়া খাবার খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন এনেও এই সমস্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। শীতের সময় বিপাকের হারও কমে যায়। যে কারণে সৃষ্ট হয় কোষ্ঠকাঠিন্য। আবার এসময়ে পানিও কম পান করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচতে কী খাবেন-
১. পেঁপে ও মধু
কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে সকালে পেঁপের সঙ্গে মধু দিয়ে খেতে পারেন। এটি পেট পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। কাঁচা পেঁপে রান্নার সঙ্গে দিয়ে বা পাকা পেঁপে কেটে খেতে পারেন। দুই ধরনের পেঁপেই পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে পেঁপের জুড়ি মেলা ভার। তবে আপনি যদি গর্ভবতী হন, সেক্ষেত্রে পেঁপে খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ জেনে নেবেন।
২. কিশমিশ
কিশমিশের অনেক উপকারিতার কথা জানা আছে নিশ্চয়ই? এটি কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেও দারুন কার্যকরী। আপনার যদি এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে কিশমিশের সাহায্য নিতে পারেন। দিনের বেলা ১০ থেকে ১৫ টি কিশমিশ পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সেই ভেজানো কিশমিশ খেতে পারেন। আবার সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই কিশমিশ সকালে উঠে খালি পেটে খেলেও উপকার পাবেন।
৩. ঘি
বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ঘি ব্যবহার করা হয়। এর স্বাদও কিন্তু চমৎকার। তবে এখানেই শেষ নয়, ঘিয়ের রয়েছে অনেক উপকারিতা। বিশেষ করে এটি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকরী। আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে রাতে ঘুমের আগে দুধের সঙ্গে সামান্য ঘি মিশিয়ে নিন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে সেই দুধটুকু পান করুন। এতে পরদিন পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে।