ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন খাত ত্রিশ বছরে সর্বোচ্চ সংকটে

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার বাড়ানোয় ৩০ বছরে সর্বোচ্চ সংকটে পড়েছে মার্কিন আবাসন খাত। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশটিতে সুদহার বাড়ায় জীবনযাপনের খরচও বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে নতুন বাড়ি কেনায় আগ্রহ হারাচ্ছেন মার্কিন নাগরিকরা। অন্যদিকে দাম কমিয়েও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পারায় দেশটির আবাসন খাতে পড়েছে এর নেতিবাচক প্রভাব। খবর বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ আবাসন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব রিয়েলটরসের (এনএআর) তথ্যমতে, গত বছরে দেশটিতে ৪০ লাখ ৯ হাজার বাড়ি বিক্রি হয়েছে, যা ১৯৯৫ সালের পর সর্বনিম্ন। চলতি বছর এ খাত ঘুরে দাঁড়ানোর কথা থাকলেও চলমান সংকট সে পথে বাধা হতে পারে বলে মনে করেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

কয়েক বছর ধরেই নতুন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে মার্কিন আবাসন খাত। মাঝারি আকারের বাড়ির মূল্য ১ শতাংশ বেড়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়ে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ ডলার হয়েছে। ফলে কমে যায় বাড়ি বিক্রি। কভিড-১৯ সংকটের পর দেশটির সার্বিক মাঝারি আকারের বাড়ির দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে ক্রেতাদের কাছে বাড়ি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে অধিক গৃহঋণ প্রয়োজন বলে মনে করেন এনএআরের অর্থনৈতিক বিশ্লেষক লরেন্স ইয়ান। এছাড়া চলমান সংকট মোকাবেলায় সরকার নতুন পদক্ষেপ না নিলে সংকট আরো তীব্র হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের পর দেশের অর্থনীতি সামাল দিতে ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার বাড়ানোর পর থেকে মার্কিন আবাসন খাতে মন্দা শুরু হয়। গত বছর শেষ তিন দশকের মধ্যে দেশটির মর্টগেজ সুদহার বাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত। মহামারী-পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপের ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো। উচ্চ মর্টগেজ সুদের হারের কারণে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ক্রেতা হারাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মর্টগেজ সুদহার বাড়ায় আমেরিকার লাখ লাখ মানুষ এখন বাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্ন বাদ দিয়েছে।

অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের লিড ইউএস ইকোনমিস্ট ন্যান্সি ভ্যানডেন হাউটেন বলেছেন, ‘‌সুদহার ৬ শতাংশের ওপরে থাকলে ক্রেতারা বাড়ি কেনায় আগ্রহ দেখাবেন না। চাহিদা বাড়াতে হলে সুদহার কমাতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, চলতি বছর পুরনো বাড়ি সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বাড়বে, যা সামগ্রিক রিয়েল এস্টেট খাতের জন্য ইতিবাচক।’

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার