লবণ ও চিনির স্বাস্থ্য অপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সবারই ধারণা আছে। এই দুটি উপাদান খাবারের স্বাদ বাড়াতে অপরিহার্য হলেও, এগুলোর অতিরিক্ত ব্যবহার শারীরিক নানা সমস্যা বাড়াতে পারে। যেমন- বেশি চিনি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় আর লবণে বাড়ে ব্লাড প্রেশার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিবছর অতিরিক্ত লবণ শরীরে যাওয়ার ফলে গড়ে ১৮ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। অর্থাৎ লবণ খাওয়ার পরিমাণ যতটা সম্ভব কমাতে হবে। তবে কীভাবে?
যেহেতু রান্নার উপকরণ বাজার বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে কেনা হয়, তাই সতর্কতার প্রথম ধাপ সেখান থেকে শুরু করা দরকার। বিভিন্ন কেনার সময় অবশ্যই প্যাকেটের গায়ে ‘লো সোডিয়াম কনটেন্ট’ লেখা আছে কি না তা যাচাই করুন।
আসলে প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেজ হয়ে আসা খাবারে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। ক্যানড স্যুপ থেকে ইনস্ট্যান্ট নুডলস, সব কিছুতেই সোডিয়ামের মাত্রা সাধারণভাবে বেশি থাকে। তাই এই ধরনের খাবার যথাসম্ভব কমিয়ে ফেলা দরকার।
রান্নায় লবণের বদলে বিভিন্ন ধরনের মশলা, হার্বস ব্যবহার করুন। প্রথমে স্বাদ অন্যরকম লাগলেও ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে। আর রেস্টুরেন্টে গেলেও সতর্ক থাকা দরকার। ভাজাভুজি জাতীয় পদের পরিবর্তে বেকড, গ্রিলড বা স্টিমড পদ অর্ডার করতে পারেন।
এর পাশপাশি পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই। তবে হঠাৎ করেই আবার লবণ কমিয়ে ফেলবেন না। বরং ধীরে ধীরে খাবারে লবণের মাত্রা কমান।