পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনার অবসান হতে যাচ্ছে। পারস্পরিক আস্থার ওপর ভিত্তি করে সমস্ত ইস্যু সমাধানে প্রস্তুত বলে ইরানকে জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। উভয় দেশ কথিত ‘সন্ত্রাসীদের’ আস্তানায় হামলা চালানোর নামে একে অন্যের ভিতরে হামলা চালানোর পর এমন আগ্রহ দেখিয়েছে পাকিস্তান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি শুক্রবার এ বিষয়ে ফোন করেছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ানকে। তাতেই এই সমস্যা সমাধানের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের ভিতরে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। এর জবাবে ইরানের ভিতরে সন্ত্রাসীদের আস্তানা টার্গেট করে বৃহস্পতিবার হামলা চালায় পাকিস্তান।
এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তেহরানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে তলব করে পাকিস্তান। ঘোষণা দেয়, ইরানের দূতকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এমন অবস্থায় উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানায় জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতা করার আহ্বান জানায় চীন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিলানি ইরানের সঙ্গে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সব রকম সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। নিরাপত্তা ইস্যুতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার টেলিফোনে এ কথা জানিয়েছেন ইরানকে। বাকি বিশ্বকে পাকিস্তান এটা পরিষ্কার করেছে যে, পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাকর হয়ে উঠুক তা তারা চায় না। তেহরানকে ইসলামাবাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান নিশ্চিত করতে বলা হয়।
ওদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিলানি। তিনি বলেছেন, ইরানের ভিতরে সন্ত্রাসীদের ক্যাম্পকে লক্ষ্য করে তারা ‘মার্গ বার সারমাচার’ অভিযান চালিয়েছে। পাকিস্তান এ উত্তেজনাকে আর বাড়াতে চায় না। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সফর সংক্ষিপ্ত করছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার।
অর্থসংবাদ/এমআই