পুঁজিবাজার
করপোরেট গভর্ন্যান্স কোড না মানলে তালিকাচ্যুতি
জারীকৃত করপোরেট গভর্ন্যান্স কোডে (সিজিসি) কিছু সংযোজন ও সংশোধন এনে তা অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ৭১৬তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বিএসইসি করপোরেট গভর্ন্যান্স কোডে যেসব সংযোজন ও সংশোধন এনেছে, তার মধ্যে রয়েছে সব ইস্যুয়ার কোম্পানিকে সিজিসির সব বিধান বাধ্যতামূলকভাবে পরিপালন করতে হবে। কোনো বিধান পরিপালনে অস্বীকৃতি জানালে অথবা ব্যর্থ হলে অথবা এ বিধান লঙ্ঘন করলে তা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর অধীনে শাস্তিযোগ্য বলে গণ্য করা হবে। এক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অ-তালিকাভুক্তকরণ অথবা শেয়ারের লেনদেন স্থগিতকরণসহ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালক নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে ওই কোম্পানি কর্তৃক শেয়ারহোল্ডারদের প্রদত্ত পরিচালকের প্রতিবেদনে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পরিচালকরা তাদের জীবনবৃত্তান্তের সঙ্গে অন্য যেসব কোম্পানির পরিচালক হিসেবে বা অন্য কোনো পদে নিয়োজিত রয়েছেন, তার বৃত্তান্ত প্রদান করতে হবে।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত: স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে যথাযথ নিয়ম পরিপালন না করার মাধ্যমে বিএসইসির করপোরেট গভর্ন্যান্স গাইডলাইনসের শর্ত লঙ্ঘন করেছে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এ কারণে কমিশন গতকালের সভায় কোম্পানিটিকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইস্যুয়ার কোম্পানির সম্পদ বিক্রিসংক্রান্ত নোটিফিকেশন সংশোধনের সিদ্ধান্ত: গতকালের সভায় কমিশন বিদ্যমান একটি নোটিফিকেশন (এসইসি/সিএমআরআরসিডি/ ২০০৮-১৮৩/অ্যাডমিন/০৩-৩০, তারিখ ১ জুন ২০০৯) সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নোটিফিকেশনটি সংশোধনী হিসেবে যে বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছে, তা হলো কোনো তালিকাভুক্ত ইস্যুয়ার কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের সাধারণ সভায় অনুমোদন না নিয়ে তাদের সর্বশেষ নিরীক্ষিত হিসাবে প্রদত্ত মোট স্থাবর সম্পত্তির ৫০ শতাংশের বেশি সম্পদ বিক্রির চুক্তিতে আবদ্ধ হবে না এবং প্রথম লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছরের মধ্যে একক বা যৌথভাবে লেনদেনের মাধ্যমে উক্ত বিক্রয়সীমা অতিক্রম করতে পারবে না।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি: গতকালের সভায় কমিশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচির বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (২৮ মে-০১ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন হয়েছে । একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন বেড়েছে এক হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৪ হাজার ২৮১ কোটি ২৬ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮০ টাকায়। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৯ কোটি ৯৬ লাখ ১ হাজার ৬৪৭ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৭২১ কোটি ৩০ লাখ ৪২ হাজার ৮৩৩ টাকা।
গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ২৯ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে ডিএসইর অপর দুই সূচক ও বেড়েছে। গেল সপ্তাহে ‘ডিএস ৩০’ সূচকে ২ দশমিক ৮২ পয়েন্ট এবং ‘ডিএসই এস’ সূচকে ৮ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট যোগ হয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে লেনদেন ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাঁচ কার্যদিবসে এক্সচেঞ্জটিতে ৫ হাজার ৫২১ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার ৫৮০ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৫৮৫ কোটি ৮৬ লাখ ৬১ হাজার ৮৪৮ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০৩টির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর কমেছে ৮১টির। বিপরীতে ১০৮ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির ১৯৪ কোটি ৬৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া জুট স্পিনার্স লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ১৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
তামহা সিকিউরিটিজের এমডিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শেয়ার বাজারের ব্রোকার হাউজ তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সফটওয়্যারের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মিথ্যা ও ভুয়া বিবরণী ও পোর্টফোলিও স্টেটমেন্ট প্রদান করে ১৩৯ কোটি ৬৯ লাখ ৯১ হাজার ৯৬২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকালে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- ব্রোকার হাউজ তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. হারুনুর রশীদ, পরিচালক জাহানারা পারভীন, ড. শাহনাজ বেগম, অ্যাকাউন্টস্ এক্সিকিউটিভ ও অথোরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ আব্দুর রহমান তালাল, সাঈদ চৌধুরী, মো. দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান, মো. গোলাম রসুল, শেরাটন শাখার ইনচার্জ ও অথোরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ এ এম আলমগীর কবীর, শেরাটন শাখার ম্যানেজার ও অথোরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ মো. ওয়ারিছ উদ্দিন, অথোরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ মো. ফায়েজুর রহমান, সেটেলমেন্ট অফিসার ও অথোরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ মো. শাহরিয়ার কবীর, অ্যাকাউন্টস্ এক্সিকিউটিভ ও অথোরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ জি. এম. আজাদ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশীদের গাড়িচালক মো. মামুন হোসেন ও অফিস সহকারী মো. হাসান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত হয়। শেয়ারবাজারের ব্রোকার হাউজ তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড দুটি ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এরমধ্যে একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মিথ্যা ও ভুয়া বিবরণী ও পোর্টফলিও স্টেটমেন্ট প্রদান করে।
এতে আরও বলা হয়, দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায় বিও হিসাবধারীরা যাতে শেয়ার লেনদেনের প্রকৃত তথ্য জানতে না পারে সেজন্য তাদের অজান্তে তাদের বিও হিসাবে প্রদত্ত ফোন নম্বর বা মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে তামহা সিকিউরিটিজের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মোবাইল নম্বর সংশ্লিষ্ট বিও হিসাবের বিপরীতে ইনপুট দেওয়া হয়েছে। এর মূলহোতা তামহা সিকিউরিটিজের সেটেলমেন্ট অফিসার (সিডিবিএল অফিসার) ও অথোরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ মো. শাহরিয়ার কবীর, যিনি নিখুঁতভাবে এ অন্যায় কাজটি করেছেন।

তাছাড়া বিনিয়োগকারীদের বিনা অনুমতিতে তাদের শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে শেয়ার ক্রয় করা হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইসলাম অক্সিজেনের আইপিও আবেদন বাতিল, নেপথ্যে বিতর্কিত সাইফুর

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চেয়েছিল ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড। তবে প্রতিষ্ঠানটির আবেদন বাতিল করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে নেপথ্যে ছিলেন বিতর্কিত কাজী সাইফুর। বিভিন্ন অপরাধের দায়ে এই সাইফুরকে ২০১৪ সালে একাধিকবার জরিমানা করেছিল বিএসইসি। একইসঙ্গে দীর্ঘ সময়ের জন্য শেয়ারবাজারে নিষিদ্ধও করা হয়েছিল বিতর্কিত এই ব্যক্তিকে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে ইসলাম অক্সিজেনের আইপিও আবেদন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অনেকদিন ধরে ইসলাম অক্সিজেনের আইপিও আবেদন পেন্ডিং ছিল। তবে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক হিসাবে অতিমূল্যায়িত করে সম্পদ দেখিয়েছে। বিক্রির বিপরীতে প্রমাণাদিও দেখাতে পারেনি কোম্পানিটি। এছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট ফাঁকি নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট চলমান রয়েছে। এসব বিবেচনায় কোম্পানিটির আইপিও আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
ইসলাম অক্সিজেনকে শেয়ারবাজারে আনতে নেপথ্যে কাজ করা কাজী সাইফুর এর আগের বেশকিছু দুর্বল কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে নেপথ্যে থেকে কাজ করেছেন। বিশেষ করে তালিকাভুক্ত করতে কোম্পানিগুলোর ভুয়া আর্থিক প্রতিবেদন তৈরীতে সহযোগিতা করতেন বিতর্কিত এই ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, ইসলাম অক্সিজেন কর্তৃপক্ষ শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৯৩ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চেয়েছিল। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর রোড শোও করেছিল কোম্পানিটি। প্রতিষ্ঠানটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং রেজিষ্ট্রার টু দ্যা ইস্যুয়ারের দায়িত্বে ছিল সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। তবে পরোক্ষভাবে মূলত ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছে বিতর্কিত শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট। যে প্রতিষ্ঠানটি এরইমধ্যে কয়েকটি কোম্পানিকে ভূয়া আর্থিক হিসাব দিয়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করেছে। আর শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের মালিকানায়ও রয়েছেন শেয়ারবাজারের বিতর্কিত ব্যক্তি কাজী সাইফুর রহমান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
নগদ লভ্যাংশ দেবে এমারেল্ড অয়েল

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এমারেল্ড অয়েল লিমিটেড সমাপ্ত হিসাববছরের (৩০ জুন, ২০২২) বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে এই লভ্যাংশ শুধুমাত্র সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির কর পরবর্তীতে আয় হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ১৫ হাজার ৮৪৬ টাকা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিলো ৩ কোটি ৬২ লাখ ৩১ হাজার টাকা। এ হিসেবে সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিলো ৫৮ পয়সা।
এদিকে. ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৩৬ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ১২ জুলাই বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে কোম্পানিটি। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ জুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মূলধন বাড়াবে ব্র্যাক ব্যাংক

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড তাদের অনুমোদিত মূলধন ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়াবে। এর ফলে ব্যাংকটির অনুমোদিত পুঁজি গিয়ে দাড়াবে ৫ হাজার কোটি টাকায়।
ব্যাংকটির সর্বশেষ বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে (০১) জুলাই বৃহস্পতিবার এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, ২০০৭ সালে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির পূর্ব ঘোষিত এজিএমে ২০২২ সালের জন্য পর্ষদ ঘোষিত ১৫ শতাংশ (৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার) ও অনুমোদিত মূলধন অনুমোদন করা হয়।
এর আগের পরিচালনা পর্ষদ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে ১১২ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৬ টাকা দেবে। পাশাপাশি ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করে বোনাস শেয়ারও দেওয়া হবে।

তার আগের বছরে ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ (সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ আর সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার) লভ্যাংশ দিয়েছিল। গত ২০২০ সালেও শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ, আর ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল।
জানা গেছে, ২০২২ সালে সামষ্টিকভাবে ব্র্যাক ব্যাংকের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ৬১২ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা ২০২১ সালে ছিল ৪৬৫ কোটি টাকা। ব্র্যাক ব্যাংক এককভাবে ২০২২ সালে ৫৭৬ কোটি টাকা কর-পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করেছে, যা ২০২১ সালের ৫৫৫ কোটি টাকার তুলনায় ৩.৯০ শতাংশ বেশি।