ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

ইটিএফ ট্রেডিংয়ে তিনদিনে লেনদেন ২০০ কোটি ডলার

যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) সম্প্রতি এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের (ইটিএফ) মাধ্যমে বিটকয়েনে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। এতে আকৃষ্ট হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। প্রথম তিনদিনে প্রায় ২০০ কোটি ডলার লেনদেন হয়েছে। যদিও পরবর্তী সপ্তাহগুলোয় বিনিয়োগের এমন ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে কিনা এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিটকয়েনে বিনিয়োগের অনুমোদনের প্রথম তিনদিনে ১৯০ কোটি ডলার লেনদেন হয়েছে। বিশ্লেষকদের দেয়া তথ্যমতে, তিনদিনে বিনিয়োগের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ব্লাকরক। ইটিএফগুলোয় ২০২১ সালের প্রথম তিনদিনে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১২০ কোটি ডলার। এছাড়া ২০০৪ সালে প্রথম তিনদিনে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ১১৩ কোটি ডলার। বিশ্লেষকদের তথ্যমতে, চলতি বছরে বিনিয়োগ পৌঁছেছে রেকর্ড উচ্চতায়।

অনুমোদনের পর ব্ল্যাকরকের আইশেয়ার বিটকয়েন ট্রাস্ট, গ্রেস্কেল বিটকয়েন ট্রাস্ট ও এআরকে ২১ শেয়ার বিটকয়েন ইটিএফসহ ১১টি স্পট বিটকয়েন ইটিএফ লেনদেন শুরু করে। এতে শেয়ারবাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এ খাতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ বিনিয়োগের পরিমাণ ৫-১০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছতে পারে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ।

তবে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি অনুমোদনের পর বিটকয়েনের বিনিময় হার কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। সম্প্রতি মাসগুলোয় এসইসি কর্তৃক ইএফটির অনুমোদনের পর বিটকয়েনের এ দরপতন হয়।

দরপতনের পর এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, বিনিয়োগের বর্তমান অবস্থা পরের ছয় মাসে এবং ছয় বছর পর কেমন হতে পারে? এছাড়া কয়েকজন বিশ্লেষক বিটকয়েনকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ হিসিবে আখ্যায়িত করেছেন।

এদিকে নিয়ন্ত্রকদের সম্মতি ইস্যুকারীদের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার জন্ম দেয়ায় কেউ কেউ পণ্যটির জন্য ফি কমিয়ে দিয়েছে। প্রথম ১২ মাসের ট্রেডিংয়ের জন্য ব্লাকরক ৫০০ কোটি ডলার পর্যন্ত ফি নির্ধারণ করেছে দশমিক ১২ শতাংশ। পরে এ ফি বেড়ে দশমিক ২৫ শতাংশে উন্নীত হবে। গত বছর প্রাথমিকভাবে শূন্য চার্জ প্রযোজ্য হলেও পরবর্তী সময়ে জুলাইয়ের পর তা বেড়ে দশমিক ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ডিজিটাল এ মুদ্রার অনুমোদন খুব সহজে আসেনি। ২০১৩ সাল থেকে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলো ইটিএফের মাধ্যমে বিটকয়েনে অনুমোদন অর্জনের চেষ্টা করছিল। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি এতদিন অনুমোদন দেয়নি। প্রায় এক দশকের লড়াইয়ের পর দেরিতে হলেও সবুজ সংকেত মিলেছে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার