রাজধানী ঢাকার আশপাশে অবৈধ অনেক ইটভাটা আছে, যা পরিবেশ দূষণ করছে। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে এসব ইটভাটা বন্ধের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সবুজবাগ থানার পূর্ব বাসাবো প্রিন্স গার্ডেন মাঠে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের শীতার্তদের মাঝে ভালোবাসার উষ্ণ উপহার কম্বল বিতরণ’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, মন্ত্রী হওয়ার পর নিজ আসনে এটা আমার প্রথম অনুষ্ঠান। আমাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের যে চিন্তাটা সব থেকে বেশি কাজ করে তা হচ্ছে, আমরা মানুষের পাশে থাকতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের যে আদর্শ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে দিকনির্দেশনা আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের পাশে থাকতে চায়।
তিনি বলেন, আমাকে অনেকে মন্ত্রী হিসেবে ফুল দিয়েছেন। তবে একটা বিষয় আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমার মূল পরিচয় আমি ঢাকা-৯ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এ পরিচয় আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মন্ত্রী হিসেবে আমি সবার সহযোগিতা চাচ্ছি। আমরা নির্বাচন করি একটি দলের প্রার্থী হয়ে। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা কিন্তু সব জনগণের হয়ে কাজ করি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যে কেউ যে কোনো সময় আমার কাছে আসতে পারেন। এখানে নৌকায় ভোট দিয়েছেন কিনা তা কোনো বিষয় না। আপনারা সবাই ঢাকা-৯ এর নাগরিক হিসেবে আমার কাছে আসবেন আপনাদের সমস্যা নিয়ে। আমি তা সমাধানের কাজ করব।
আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করেছে এটা যেমন সঠিক আবার এটাও ঠিক যে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন আমরা সব জায়গায় পৌঁছে দিতে পারিনি এমন মন্তব্য করে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, অর্থাৎ সমাজের এমন কিছু কিছু মানুষ থাকে যাদের জন্য আমাদের বিশেষ ভাবনা, চিন্তা এবং পরিকল্পনা থাকতে হবে। আর সেই বোধ থেকেই আজকের এ আয়োজন।
তিনি আরও বলেন, পত্র-পত্রিকায় আমরা খোঁজ পাচ্ছি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে হলে তখন শীত প্রচণ্ড পরিমাণে বাড়বে। এ সময় আমাদের সব থেকে বেশি যে কাজটি করা প্রয়োজন তা হচ্ছে, জনগণের পাশে থাকা। আজকের এ দিনটা কোনো আনন্দের দিন না। এটা এমন একটা দিন আমরা যে আপনাদের পাশে আছি সেটা পুনর্ব্যক্ত করার দিন।
দ্রব্যমূল সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যে আনা বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান অঙ্গীকার এমন মন্তব্য করে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটা বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। যা আমাদের আগামী এক দুই মাসের কর্মসূচির মধ্যেও আছে। আর সেটি হচ্ছে দ্রব্যের দাম আমরা যেন সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে পারি। এটা আমাদের একটা নির্বাচনী অঙ্গীকার। নির্বাচনের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের মেন্ডেট জানিয়েছেন। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে কাজ করে। আমাদের যেসব অঙ্গীকার ছিল, তা একে একে প্রতিটি অঙ্গীকার পূরণ করব।