ক্যাটাগরি: খেলাধুলা

বিপিএল বিজ্ঞাপনে বেটিং সাইট নেবে বিসিবি

দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কানাডা ও জিম্বাবুয়েতে কয়েক বছরের ব্যবধানে চালু হয়েছে টি-টোয়েন্টি ও টি-টেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। প্রত্যেক টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সরসহ বিভিন্ন জায়গায় স্পন্সর হচ্ছে বেটিং সাইটগুলো। এ ছাড়া আইপিএল, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও স্পন্সর হিসেবে দেখা যায় বেটিং সাইটকে। শুধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কখনোই যুক্ত ছিল না বেটিং সাইটগুলো।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক সংবাদমাধ্যকে বলেন, ‘বেটিং সাইটগুলোকে বাইরে রেখে টুর্নামেন্ট চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতাটিতে স্পন্সরের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বেটিং সাইটগুলোকে।’

বিশ্বব্যাপী টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে নিয়মিত স্পন্সর হচ্ছে বেটিং সাইটগুলো। তাছাড়া আইসিসিরও কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ নেই বিজ্ঞাপন বা স্পন্সর হওয়ার ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগগুলোতেও বিসিবি চাইলে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেটিং প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করতে পারেন।

ইসমাইল হায়দার মল্লিকসহ বিসিবির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনেকগুলো বেটিং প্রতিষ্ঠান আসন্ন বিপিএলে স্পন্সর হতে আগ্রহী। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিসিবি। এমনকি সাকিব আল হাসান বেটিং সাইটের সঙ্গে চুক্তি করায় বিসিবির রোষাণলে পড়েছিল। মূলত এ কারণেও বেটিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিপিএলকে যুক্ত করতে চায়নি বিসিবি।

নিজেদের কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। আগামী প্রতিযোগিতায় বিপিএলের স্পন্সর হিসেবে দেখা যেতে পারে বেটিং প্রতিষ্ঠানকে। এমনকি বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজির জার্সিতেও দেখা যেতে পারে বেটিং সাইটের নাম ও লোগো।

কয়েক দিন আগেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামাল জানিয়েছিলেন, বিপিএলের লভ্যাংশ ফ্র্যঞ্চাইজিদের সঙ্গে ভাগাভাগি না করলে আগামী আসর থেকে তারা টুর্নামেন্টে অংশ নেবে না। এর জবাবে ইসমাইল হায়দার বলেছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাড়ালে (১৫/২০ কোটি) রেভিনিউ শেয়ার করা যাবে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার