চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন, বাংলাদেশে অনেক সমস্যা, অনেক বৈষম্য, অনেক চ্যালেঞ্জ। এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স রুমে দেশের সর্ববৃহৎ ফাজিল/কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। মতবিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী‌ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন, নৈতিকতা ও সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষাও যেন আমরা মানুষের মধ্যে দেই। বাংলাদেশে অনেক সমস্য, অনেক বৈষম্য, অনেক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এই সত্যিকারের দ্বীনিই শিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আমাদের আলেম-ওলামাদের প্রতি সব সময় অনুরোধ করেন গবেষণা করতে।

তিনি বলেন, গবেষণার করে আমাদের দ্বীনি ব্যবস্থায় এজমা, কিয়াস এবং বাহাস করে আমরা যাতে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করবে। এই লক্ষ্যে সরকার জামিয়া ( আলিয়া) মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, এখনো আমরা অনেক বেশি অর্থডক্স এবং অপ্রচলিত বা কনভেনশনাল জায়গায় আছি। পৃথিবীর অনেক দেশ ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামি দ্বীনি জ্ঞানের দিক দিয়ে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। সেটি মানুষের অধিকার হোক, যাকাত বা ট্যাক্স কীভাবে দেবে, সে ব্যাপারে হোক, এই বিষয়গুলোতে আরও গবেষণা হওয়া দরকার। জ্ঞানী লোকরা নানান ধরনের গবেষণা লব্ধ ফতোয়া দিয়েছেন। এই গবেষণার জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টি। সেই জায়গাতে যারা অধ্যক্ষ রয়েছেন, তাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।

মহিবুল হাসান বলেন, যারা সমাজে খতিব হবেন, যারা ইমামতি করবেন তারা সমাজের নেতা। তারা শুধু ধর্মীয় নেতা নন, সমাজেরও নেতা। তারা সেই সমাজে প্রভাব বিস্তার করেন। তাদের মাধ্যমে আমরা নানান বিষয় সাধারণ জনগণকে শেখাতে পারি। যেমন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলি, দক্ষতানির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলি, নিষ্ঠাবান হওয়ার কথা বলি। একটি সময় ছিল মসজিদভিত্তিক শিক্ষা দেওয়া হতো। কিন্তু আমরা সে পথে হাঁটতে পারিনি। বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, ইমাম সবাই সম্মিলিত উদ্যোগে একসঙ্গে যাতে কাজ করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার