যুক্তরাষ্ট্রের ডলারকে সাধারণত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে ধরা হয়। বিশ্বের যত মুদ্রা আছে তারমধ্যে মার্কিন ডলারই সবচেয়ে লেনদেন হয়ে থাকে।
তবে চমকপ্রদ তথ্য হলো, জাতিসংঘের স্বীকৃতি ১৮০টি মুদ্রার মধ্যে- যুক্তরাষ্ট্রের ডলার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা নয়। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। কিন্তু তাই বলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন ডলার বিশ্বের সেরা মুদ্রা হিসেবে জায়গা করে নিতে পারেনি।
মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস গত বছরের ৩০ নভেম্বর- ২০২৪ সালের বিশ্বের সেরা ১০টি মুদ্রার একটি তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকার তলানিতে রয়েছে ডলার।
ফোর্বসের বিশ্লেষণে ওঠে এসেছে, বিশ্বের সেরা মুদ্রা হলো কুয়েতি দিনার। এরপর যথাক্রমে রয়েছে— বাহরাইনি দিনার, ওমানি রিয়াল, জর্ডানিয়ান দিনার, ব্রিটিশ পাউন্ড, জিব্রাল্টার পাউন্ড, ক্যামেন আইল্যান্ড ডলার, সুইস ফ্রাঙ্ক, ইউরো ও মার্কিন ডলার।
কুয়েদি দিনার: এক কুয়েতি দিনার দিয়ে ৩ দশমিক ২৬ মার্কিন ডলার কেনা যায়। অপরদিকে এক কুয়েতি দিনার দিয়ে এখন কেনা যাবে ৩৫৭ টাকা।
বাহরাইনি দিনার: এক বাহরাইনি দিনার দিয়ে কেনা যাবে ২ দশমিক ৬৫ ডলার। এক বাহরাইনি দিনার দিয়ে কেনা যাবে ২৯২ টাকা।
ওমানি রিয়াল: এক ওমানি রিয়াল দিয়ে কেনা যাবে ২ দশমিক ৬০ ডলার। এক ওমানি রিয়াল দিয়ে কেনা যাবে ২৮৬ টাকা।
জর্ডানিয়ান দিনার: এক জর্ডানিয়ান দিনার দিয়ে কেনা যাবে ১ দশমিক ৪১ ডলার। এক জর্ডানিয়ান দিনার দিয়ে কেনা যাবে ১৫৫ টাকা।
ব্রিটিশ পাউন্ড: এক ব্রিটিশ পাউন্ড দিয়ে কেনা যাবে ১ দশমিক ২৭ ডলার। অপরদিকে এক ব্রিটিশ পাউন্ড দিয়ে কেনা যাবে ১৪০ টাকা।
জিব্রাল্টার পাউন্ড: এক জিব্রাল্টার পাউন্ড দিয়ে কেনা যাবে ১ দশমিক ২৮ ডলার। আর এক জিব্রাল্টার পাউন্ড দিয়ে কেনা যাবে ১৪০ টাকা।
ক্যামেন আইল্যান্ড ডলার: এক ক্যামেন আইল্যান্ড ডলার দিয়ে কেনা যাবে ১ দশমিক ২০ ডলার। অপরদিকে এক ক্যামেন আইল্যান্ড ডলার দিয়ে কেনা যাবে ১৩২ টাকা।
সুইস ফ্রাঙ্ক: এক সুইস ফ্রাঙ্ক দিয়ে কেনা যাবে ১ দশমিক ১৬ ডলার। আর এক সুইস ফ্রাঙ্ক দিয়ে কেনা যাবে ১২৭ টাকা।
ইউরো: এক ইউরো দিয়ে কেনা যাবে ১ দশমিক ০৯ ডলার। অপরদিকে এক সুইস ফ্রাঙ্ক দিয়ে কেনা যাবে ১২০ টাকা।
মার্কিন ডলার: এক মার্কিন ডলার দিয়ে ১ ডলারই কেনা যাবে। এক ডলার দিয়ে বর্তমানে কেনা যাবে ১১০ টাকা।
বিদেশি মুদ্রার মান নির্ধারণ হয় কীভাবে?
বিদেশি মুদ্রার লেনদেন হয় এক আলাদা দুটি দেশের মুদ্রার মধ্যে। উদাহরণ স্বরূপ, অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার ক্রয়। যার ফলে এক দেশের মুদ্রার মান আরেক দেশের মুদ্রার মানের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। যা ‘এক্সচেঞ্জ রেট’ নামে পরিচিত।
বিশ্বের বেশিরভাগ মুদ্রার মানই ওঠানামা করে। যার অর্থ চাহিদা এবং সরবরাহ অনুযায়ী দাম পরিবর্তন হয়ে থাকে। কিছ মুদ্রার মান স্থির। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ডলার একটি নির্দিষ্ট দামে নির্ধারিত। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন ডলারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ডলারের মান নির্দিষ্ট করা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি বাতিল করা হয়। এখন চাদিহা ও সরবরাহ অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মূল্য ওঠানামা করে।
মুদ্রা শক্তিশালী হয় বিভিন্ন কারণে। যারমধ্যে হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, পণ্যের চাহিদা ইত্যাদি।