ক্যাটাগরি: লাইফস্টাইল

ডায়াবেটিস থাকলে কি বেগুনপোড়া খাওয়া যায়?

ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। একবার এই সমস্যা দেখা দিলে সহজে কম চায় না। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে সহজেই এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এজন্য শরীরচর্চার পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস জরুরি। বিভিন্ন ধরনের খাবার আছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। এগুলি বাদ দিতে হয় প্রথমেই। এর মধ্যে রয়েছে প্রক্রিয়াজাত খাবার ও নানা ধরনের মিষ্টি।

তবে অনেক ডায়াবেটিস রোগীই বুঝতে পারেন না, তাঁদের কোনটা খাওয়া উচিত, কোনটা নয়। যেমন অনেকেই জানেন না, ডায়াবেটিস থাকলে বেগুন খাবেন নাকি খাবেন না। এই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে বিজ্ঞান। দেখে নেওয়া যাক, কী বলা হচ্ছে সেখানে-

নাম বেগুন হলেও এই সবজির অনেক গুণ রয়েছে। কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এই সবজি। শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। আবার বেগুন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বেগুনে থাকা পটাশিয়াম শরীরের জলশূন্যতা দূর করে যা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে খাওয়া যেতে পারে কি এই সবজি?

বিশেষজ্ঞদের মতে, কম ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেটযুক্ত এই সবজিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান আছে। আপনি যদি ডায়াবিটিসের রোগী হন তাহলে আপনার ডায়েটে এই সবজি অবশ্যই রাখুন।

হালের এক রিপোর্ট অনুসারে, বেগুনে খুব কম গ্লাইসেমিক সূচক আছে। যা রক্তে শর্করাকে বাড়ায় না। এটি একটি স্টার্চবিহীন খাবার। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ১৫। ফলে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এটি উপকারী। কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবারগুলো গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায় না।

বেগুনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল ও দ্রবণীয় ফাইবার আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এতে ক্যালোরি ও ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। এতে ম্যাঙ্গানিজ, নিয়াসিন ও কপারের মতো অন্যান্য খনিজও আছে। বেগুনে ভিটামিন এ ও সি এর মতো উচ্চ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে, যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ক্যালোরি কম হওয়ায় এটি ওজন কমানোর জন্য একটি দুর্দান্ত খাবার।

ফাইবার সমৃদ্ধ এই সবজি কোষ্ঠকাঠিন্যও সারায়। বেগুনে থাকা ফোলেট রক্ত স্বল্পতা দূর করে। এতে উৎপন্ন গ্লাইকোঅ্যালকালয়েড ত্বকের ক্যানসারও প্রতিরোধ করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে ডায়েটে রাখতে পারেন বেগুনের নানা পদ।

তবে একটি কথা মনে রাখা দরকার। অনেকেরই বেগুনে অ্যালার্জি থাকে। তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বেগুন খাবেন না। কারণ অ্যালার্জির সমস্যা বাড়লে তা মারাত্মক আকার নিতে পারে। তাই সেই বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার