ইভ্যালি বর্তমানে যে পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে তাতে গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত দিতে খুব বেশি দিন সময় লাগবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেল।
তিনি বলেন, বর্তমানে ইভ্যালি যে পদ্ধতিতে পরিচালনা হচ্ছে এবং মুনাফা অর্জন করে যাচ্ছে তাতে সবাই যদি সহযোগিতা করেন খুব বেশি দিন লাগবে না গ্রাহকের অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে যত গ্রাহক ইভ্যালির কাছে টাকা পায় তা মুনাফা করে দিতেও সক্ষম হবো।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ই-কর্মাস ও ই-সেবা খাতে ভোক্তার অধিকার-আমাদের করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
ইভ্যালির বর্তমান ব্যবসা ক্যাশ অ্যান্ড ডেলিভারি পদ্ধতিতে পরিচালনা হচ্ছে উল্লেখ করে মো. রাসেল বলেন, এখন গ্রাহক পণ্য পাওয়ার পর টাকা পরিশোধ করবে। সেটা যাদের পণ্য তাদের ব্যাংক হিসাবে সরাসরি চলে যায়। সেখান থেকে সরকারের ভ্যাট, ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়।
রাসেল বলেন, বর্তমানে ইভ্যালি কোনো পণ্য নেই যেটা মুনফা ছাড়া বিক্রি করা হয়। তখন প্রশ্ন আসতে পারে, পণ্যের মালিকও মুনাফা করে, আপনিও মুনাফা করেন, তাহলে তো পণ্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু পৃথিবীতে ই-কর্মাস ব্যবসার নিয়ম হচ্ছে যতবেশি পণ্য বিক্রি হবে, তখন মুনফা কম হলেও বিনিয়োগটা উঠে আসে। স্টোরে মাল পড়ে থাকে না। যার কারণে পণ্যের মালিক খুচরা বাজারে ২০-২৫ শতাংশ মুনফা করলেও আমাদের কাছে ৫-৬ শতাংশ মুনাফা তা ছেড়ে দেয়। আমাদের যেহেতু বেশি পণ্য বিক্রি করা সুযোগ থাকে, তাই ৮-৯ শতাংশ মুনাফায় পণ্য বিক্রি করে দেয়। ফলে, বাজারে দীর্ঘদিন ও গোডাউনে পণ্য পড়ে না থাকলে আমরাও কম মূল্যে পাই। আমরাও গ্রাহককে কম মূল্যে অফার দিতে পারি।