আকাশে রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি, লেজার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার না করার নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান) বিনা অনুমতিতে দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস উড্ডয়ন করছেন। এ ছাড়াও বিমান বাহিনী ঘাঁটি ও বিমান উড্ডয়ন এলাকায় লেজার রশ্মি অথবা হাইপাওয়ার টর্চ লাইট বিমান ও হেলিকপ্টারের দিকে লক্ষ্য করে ব্যবহার করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন ওড়ানো এবং লেজার রশ্মি নিক্ষেপ বিমান ও হেলিকপ্টারের উড্ডয়নের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব একদিকে যেমন বিমান ও হেলিকপ্টার উড্ডয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তেমনি বিমান ও হেলিকপ্টারে ব্যবহৃত রেডিও সংকেত আদান-প্রদানেও বাধা সৃষ্টি করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ছাড়াও বর্তমানে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা দেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আইএসপিআর আরও জানায়, জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ব্যক্তি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান ইত্যাদি উড্ডয়নের ন্যূনতম ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে প্রদত্ত ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি নিতে হবে। এ ছাড়াও বিমান উড্ডয়ন নিরাপত্তার স্বার্থে সকলকে বিমান উড্ডয়ন এলাকার সন্নিকটে ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন ওড়ানো এবং লেজার রশ্মি ও হাইপাওয়ার টর্চ লাইট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয় আইএসপিআরের পক্ষ থেকে।
অর্থসংবাদ/এমআই