যুক্তরাজ্যে সমাপ্ত ২০২৩ সালের নভেম্বরে জিডিপি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বেড়েছে। আর এক্ষেত্রে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে দেশটির সেবা খাত। পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে শক্তিশালী উৎপাদন খাতও। খবর ইউরো নিউজ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধির এ খবর দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দিকেই ইঙ্গিত করছে। এভাবে নভেল করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রভাবে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ধকল কাটিয়ে উঠেছে যুক্তরাজ্য। একই সঙ্গে ভয়াবহ জ্বালানি সংকটও এড়াতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নেয়া টেকসই সংকোচনমুখী মুদ্রানীতির ফলে মূল্যস্ফীতির চাপও অনেকটাই শিথিল হয়েছে।
ইউরো নিউজের খবরে বলা হয়, গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাজ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দশমিক ৩ শতাংশ কমে গিয়েছিল। তবে বিশ্লেষকরা নভেম্বরে দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। মাস শেষে এ পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় দশমিক ৩ শতাংশে।
প্রাথমিকভাবে যুক্তরাজ্যে নভেম্বরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি মূলত সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি থেকে এসেছে, যা অক্টোবরে দশমিক ১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি থেকে দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে উৎপাদন খাতেও অক্টোবরে নেতিবাচক ১ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থেকে দশমিক ৩ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। তবে নির্মাণ খাতে সংকোচন হ্রাস পেয়েছে। যদিও এ হ্রাস অব্যাহত রয়েছে, তবে অক্টোবরের তুলনায় তার গতি ধীর।
যুক্তরাজ্যে নভেম্বরে বছরওয়ারি জিডিপি দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে, যা বিশ্লেষকদের করা পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলেছে। এটি অক্টোবরের নেতিবাচক দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার থেকে উন্নতি করেছে। এ পরিসংখ্যানগুলো কভিড-১৯ মহামারীর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব থেকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের সার্বিক মূল্যস্ফীতির চাপ ৩ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসায় তা এখন আর অন্য উন্নত দেশগুলোর তুলনায় উচ্চ মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি বলে বিবেচিত হচ্ছে না।
অর্থসংবাদ/এমআই