বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় থাকা এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) আবেদনে অর্থ সীমা তুলে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে বিনিয়োগকারীরা যত খুশি তত টাকার আবেদন করতে পারবে।
কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সাধারনত আইপিওর শেয়ার ক্রয়ে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। যার উপর ভিত্তি করে শেয়ার পেতেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাতে সব বিনিয়োগকারীরই প্রাপ্ত শেয়ার সংখ্যা সমান হয়ে আসছিল। তবে এনআরবি ব্যাংকের শেয়ার ক্রয়ে বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে বিএসইসি।
আগামী ২৮ জানুয়ারি ব্যাংকটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) চাঁদা গ্রহণ শুরু হবে, যা চলবে ০১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ জানুয়ারি।
কোম্পানিটির আইপিও শেয়ারে আবেদনের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা এবং অনাবাসী বাংলাদেশিদের ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।
এর আগে, বিএসইসির ৮৮৭তম কমিশন সভায় এনআরবি ব্যাংককে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১০ কোটি শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি শেয়ারবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।
আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাংকটি সরকারি সিকিউরিটিজে ৯২ কোটি টাকা, সেকেন্ডারি মার্কেটে ৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং আইপিও ব্যয় মেটাতে ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেস্ট হোল্ডিংসের আইপিও আবেদনের উপর বাধা তুলে নিয়েছিল বিএসইসি। তবে মঙ্গলবার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার আবেদনের উপর নতুন সীমা আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
অর্থসংবাদ/এমআই