চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে ৯ ফ্রেরুয়ারি থেকে অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে। ২৩ দিনব্যাপী এ বইমেলা শেষ হবে ২ মার্চ।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) টাইগারপাসস্থ চসিক নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে মেলার প্রস্তুতি সভায় চসিক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ ঘোষণা দেন।
মেলার স্থান হিসেবে সিআরবির শিরিষতলা এবং বিকল্প হিসেবে স্টেডিয়াম সংলগ্ন শিশু পার্ক প্রস্তাব করেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য। এই মেলার জন্য সুনির্দিষ্ট স্থান নির্বাচন করা জরুরি। আমি মনে করি সিআরবি শিরিষতলাতে স্থায়ীভাবে থাকবে। আমরা যদি বইমেলা এবার শিরিষতলায় করতে পারি তাহলে স্থায়ীভাবে প্রতি বছর বই মেলা ওখানে করার একটা সুযোগ তৈরি হবে।
মেয়র বলেন, বইমেলাকে সফল করতে যে উপ-কমিটিগুলো গঠন করা হবে। উক্ত কমিটি ঠিকভাবে কাজ করলেই বইমেলা সফল হবে বলে আমি মনে করি। বই মেলাকে সফল করতে প্রয়োজন সমন্বিত চেষ্টা করতে হবে।
উৎসবমুখর বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব এই বইমেলা হয়ে উঠে বাঙালির মিলন মেলায়। সভায় চট্টগ্রামের লেখক, প্রকাশক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, সংস্কৃতিকর্মী, পেশাজীবি ও চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সদস্যদের সাথে অমর একুশে বইমেলার প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন।
চসিক শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটি সভাপতি কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন- প্যানেল মেয়র মো. গিয়াসউদ্দিন, বেগম আফরোজা কালাম, সমাজ কল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, আতাউল্লাহ চৌধুরী, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, প্রফেসর ড. মুহিতুল আলম, কবি ওমর কায়সার, কবি বিশ্বজিৎ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, মো. জামাল উদ্দীন, সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের সভাপতি মো. সাহাবুদ্দীন হাসান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস, রেহেনা চৌধুরী।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে প্রতিবছর অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।