ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

ভারতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ

ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে চার মাসের সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা নভেম্বরে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ ছিল। ফলে খাদ্যের মূল্য ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে এবং শহরের ভোক্তাদের জন্য তা ১০ দশমিক ৪২ শতাংশে পৌঁছেছে। খবর দ্য হিন্দু।

যদিও গ্রামীণ ভোক্তাদের খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ৯ শতাংশের নিচে রয়েছে। তবে তাদের সার্বিক মূল্যস্ফীতি প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে। সে তুলনায় ডিসেম্বরে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর প্রান্তিকের জন্য গড় ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে, যা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) ৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রক্ষেপণ থেকে মাঝারি আকারের কম। এদিকে সুদের হার কমানোর আশা এখনো অনিশ্চিত রয়েছে। কারণ আরবিআই ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে গড় মূল্যবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে আশা করছে। এটা না হলে মুদ্রানীতির পরিবর্তন নাও হতে পারে।

খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ডাল জাতীয় পণ্যে ২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ, শাকসবজিতে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ, ফল জাতীয় পণ্যে ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ ও চিনিতে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়েছে। অন্যদিকে শহরাঞ্চলে ভোক্তা খাদ্যমূল্য ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে গ্রামীণ ভোক্তারা দুধ, মসলা ও চিনির মতো কিছু পণ্যে আরো বেশি মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন হয়েছেন।

মূল্যস্ফীতি দুধে ৫ দশমিক ১ শতাংশ, মাছ ও মাংসে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ ও ডিমে ৪ দশমিক ৪ শতাংশে নেমেছে। মাসিক ভিত্তিতে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) নভেম্বরের তুলনায় দশমিক ৩২ শতাংশ কমেছে। ভোক্তা খাদ্যমূল্য সূচক দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে।

এদিকে উড়িষ্যায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশ, গুজরাটে ৭ দশমিক ১ শতাংশ, রাজস্থানে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ ও হরিয়ানায় ৬ দশমিক ৭ শতাংশসহ সাতটি রাজ্যে মূল্যস্ফীতি আরবিআইয়ের সীমার (৬ শতাংশ) ওপরে রয়েছে। দিল্লির বাসিন্দারা সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতির হার ২ দশমিক ৯৫ শতাংশের মুখোমুখি হয়েছেন।

ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি বাড়ার প্রধান কারণ ছিল খাদ্য ও পানীয় এবং শাকসবজির মূল্যবৃদ্ধি।

আইসিআরএর প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার সতর্ক করে জানান, বার্ষিক খরিপ মৌসুমে কৃষিপণ্য উৎপাদন কমে যাওয়া এবং এল নিনো আবহাওয়ার কারণে চলমান রবি মৌসুমে রোপণ দেরি হওয়ায় চাল, গম ও ডালের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি রয়ে গেছে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার