স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানে স্বাধীনতাপন্থি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে চীন। তাইওয়ানের এই নির্বাচনকে ‘যুদ্ধ অথবা শান্তি’ বেছে নেওয়ার পথ বলে জানিয়েছিল এশিয়ার একমাত্র পরাশক্তিধর দেশটি।
গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, দ্বীপবাসীরা স্বাধীনতাপন্থি প্রার্থী লাই চিং-তেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করায় চীন থেকে তাইওয়ানের আরও বহু দূর সরে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
চীনের কমিউনিস্ট সরকার তাইওয়ানের লাই চিং-তেকে স্বাধীনতাপন্থি হিসেবে গণ্য করে। তার ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) গত আট বছর ধরে তাইওয়ান শাসন করছে।
তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়ার পর লাই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দেশ সঠিক পথেই এগিয়ে যাবে। আমরা পিছনে ফিরে তাকাবো না।’
পরবর্তীতে তিনি তার ১০ হাজার উল্লসিত সমর্থকদের সমাবেশে বলেন, তার এই বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, তাইওয়ানের নির্বাচনের ফলাফল চীনকে এতটাই অস্বস্তিতে ফেলেছে যে ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বেইজিং বার্তা দিয়ে বলে—’তাইওয়ান চীনের অংশ’।
চীন শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাইওয়ানকে নিজ দেশের অংশ করতে চায় তবে এ বিষয়ে শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়নি।
গত কয়েকমাস ধরে চীন নিয়মিতভাবে তাইওয়ানের আশেপাশে সামরিক মহড়ার আয়োজন করে আসছে, যা সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কা জিইয়ে রেখেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই