ফর্সা হওয়ার ক্রিমে ছেয়ে গেছে বাজার। বাজারের অনেক কোম্পানির দাবি, তাদের ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করে মানুষের গায়ের রং ফর্সা হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়াল ও স্কিন ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ফর্সা হওয়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। যদিও সৌন্দর্যের সঙ্গে গায়ের রঙের কোনো সম্পর্ক নেই। তবুও এ সমস্ত ক্রিম ব্যবহার করছেন বেশিরভাগ যুবক-যুবতী।
কিন্তু সত্যিই কোনো ক্রিম ত্বকের রং বদল করতে পারে? পুরুষ এবং নারী সবাই ব্যাপকভাবে পণ্যগুলো ব্যবহার করছেন। কিন্তু এবার এসব আসল সত্যি প্রকাশ করলেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, কোনো ক্রিম বা অন্য কোনো চিকিৎসার মাধ্যমে ত্বককে স্থায়ীভাবে ফর্সা করা যায় না। যতক্ষণ মানুষ ক্রিম লাগায় ততক্ষণ ত্বকের রঙে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে, তবে ধীরে ধীরে ত্বক তার স্বাভাবিক রঙে ফিরে আসে।
যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য কোনো চিকিৎসা বজায় রাখেন, তবে ত্বকের স্তরে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আজকাল, অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শট, আইভি ড্রিপ এবং ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়, যা ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে পারে। তবে এই জিনিসগুলোরও রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। তাদের ব্যবহার ছাড়া, ত্বকের রং চিরতরে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা ভিটিলিগো অর্থাৎ সাদা দাগে ভুগছেন, তাদের জন্য কিছু বিশেষ ক্রিম পাওয়া যায়। এই ক্রিমগুলো শুধুমাত্র ভিটিলিগো রোগীদের দ্বারা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই ক্রিমগুলো ত্বককে স্বাভাবিক রঙে ফিরিয়ে আনতে সহায়ক প্রমাণিত হতে পারে।
পাশাপাশি এই ক্রিমগুলো শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করা উচিত এবং সুস্থ ব্যক্তিদের ব্যবহার করা উচিত নয়। যেকোনো ধরনের ফেয়ারনেস ক্রিম অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
অতএব, মানুষের ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত এবং যেকোনো সমস্যায় ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
অর্থসংবাদ/এমআই