ক্যাটাগরি: অর্থনীতি

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিতে অটোমেশনের বিকল্প নেই: ডিসিসিআই সভাপতি

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘আয়কর আইন ২০২৩: করপোরেট করের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামের এ অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অনুপাতে করদাতার হার অত্যন্ত কম, যেখানে ১৭ কোটি মানুষের এদেশে মাত্র ৪০ লাখ মানুষ কর দিয়ে থাকেন, যা মোটেও কাম্য নয়। কর দেয়ার এ নিম্নহার বিদ্যমান করদাতাদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করে। করদাতাদের স্বল্পহার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাকে শ্লথ করছে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের বিদ্যমান রাজস্ব প্রদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনা সম্ভব হলে, ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের হয়রানি কমবে, সেই সঙ্গে সম্ভাবনাময় নতুন করদাতাদের এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে করজাল আরো সম্প্রসারিত হবে।

তিনি বলেন, আয়োজিত এ কর্মশালায় ‘আয়কর আইন ২০২৩’ বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের সম্যক ধারণা দেবে, যেটি নতুন আইনটি বুঝতে সহায়ক হবে, বিশেষকরে উদ্যোক্তাদের করপোরেট কর প্রদানে আরো উৎসাহিত করবে।

কর্মশালায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)-এর জয়েন্ট কমিশনার (কর অঞ্চল-১৫) ওয়াকিল আহমেদ জানান, ২০২৩ সালে প্রায় চার লাখের বেশি করদাতা ই-টিন সার্ভিস ব্যবহারের মাধ্যমে কর দেন, বিগত বছরে এর সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৫০ হাজার। এতে প্রতীয়মান হয়, অটোমেশন প্রক্রিয়া করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই’র কাস্টমস, ভ্যাট অ্যান্ড ট্যাক্সেশন স্ট্যান্ডিং কমিটির উপদেষ্টা স্নেহাশীষ বড়ুয়া। আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (ট্যাক্স এডুকেশন) বাপন চন্দ্র দাস। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।

ঢাকা চেম্বারের সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭০ জন প্রতিনিধি এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার