আর্জেন্টিনার বার্ষিক মূল্যস্ফীতি গত বছরের ডিসেম্বরে ২১১ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত সরকারি তথ্যানুযায়ী, ১৯৯০ এর দশকের পর থেকে সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে দেশটির মূল্যস্ফীতি। এর পেছনে নতুন প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেইয়ের কঠোর কৃচ্ছ্রতামূলক নীতিকে দায়ী করা হচ্ছে।
জাভিয়ের মিলেই গত ১০ ডিসেম্বর ক্ষমতা গ্রহণের পর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার কৌশল হিসেবে দেশটির মুদ্রা পেসোর চরম অবমূল্যায়ন করেছেন। ফলে মূল্যস্ফীতি নতুন রেকর্ড করেছে। খবর রয়টার্স।
সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্জেন্টিনার মাসিক মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বরে ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ ছুঁয়েছে, যা পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য কম। মূল্যস্ফীতির হার অনুযায়ী, দেশটি প্রতিবেশী ভেনিজুয়েলাকেও ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্লেষকরা জানান, লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে দীর্ঘ মূল্যস্ফীতির দেশ বলা হয় ভেনিজুয়েলাকে, যেখানে গত বছর আনুমানিক ১৯৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল।
আর্জেন্টিনার অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী সুজানা ব্যারিও (৭৯) বলেছেন, আমাদের এমন জিনিসগুলো বাদ দিতে হচ্ছে, যা জীবনকে একটু রাঙিয়ে তোলে। আমি আর বন্ধুদের বারবিকিউর জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারি না। অথচ এ ধরনের নিমন্ত্রণ আর্জেন্টিনার সামাজিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি অসম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি আর্জেন্টিনার অর্থনীতিকে বছরের পর বছর ধরে একই স্থানে আটকে রেখেছে। ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে মূল্যস্ফীতি বাড়তে শুরু করে, যা এখন সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে। এ সময় দেশটি হাইপারইনফ্লেশন থেকে বেরিয়ে এসেছিল এবং বিশেষ করে খাদ্যের দাম দ্রুত বেড়েছিল।
অর্থসংবাদ/এমআই