ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

গ্যাস আমদানি বাড়াবে এশিয়ার দেশগুলো

সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন জ্বালানি হিসেবে পরিচিত কয়লার ব্যবহারে শীর্ষে এশিয়ার দেশগুলো। পরিবেশ ও জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর জ্বালানিটির ব্যবহার কমিয়ে আনতে তাই প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে অঞ্চলটির দেশগুলো। এরই মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি বাড়াতে পাইপলাইন প্রকল্পে ঝুঁকছে চীন, ভারত ও পাকিস্তান। খবর আনাদোলু এজেন্সি।

এ-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি বলছে, ‘প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে বিশ্বব্যাপী ৭০ হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত পাইপলাইন নির্মাণাধীন রয়েছে, যার অধিকাংশই স্থাপন করা হচ্ছে এশিয়ায়। এতে মোট খরচ হবে প্রায় ১৯ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।’ যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল এনার্জি মনিটরের (জিইএম) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। জিইএমের তথ্য বলছে, প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের ৮৩ শতাংশই নির্মিত হচ্ছে এশিয়ায়। এজন্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৭২০ কোটি ডলার।

এশিয়ায় নির্মাণাধীন পাইপলাইনের বেশিরভাগ অংশই হচ্ছে চীন ও ভারতে। দেশ দুটি সাম্প্রতিক সময়ে কয়লানির্ভরতা কাটাতে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যাপক ব্যবহারের ওপর নজর দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশ পাকিস্তানও পাইপলাইন নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্মাণাধীন পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালের শেষের দিকে এসে ১৮ শতাংশ বেড়েছে। এশিয়ায় নির্মাণাধীন পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য মোট ৫৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার।

জিইএমের তথ্যমতে, ইউরোপে নির্মাণাধীন ৫ হাজার ৬০০ কিলোমিটার, যুক্তরাষ্ট্রে ৪ হাজার ৭০০ কিলোমিটার ও আফ্রিকায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পাইপলাইন রয়েছে। এসব পাইপলাইনের অংশীদারত্বে থাকা শীর্ষ ১০টি দেশ হলো চীন, ভারত, ইরান, রাশিয়া, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, নাইজেরিয়া, ইতালি, আর্জেন্টিনা ও কানাডা। সব মিলিয়ে বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়নাধীন বৈশ্বিক পাইপলাইনের মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার কিলোমিটার।

পাঁচ হাজার কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করছে ইরান, যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটারের ‘আইজিএটি ১১ পাইপলাইনের’ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৬ সালে। ইরান ও ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তান গ্যাস আমদানির জন্য ৩৭০ কোটি ডলার ব্যয়ে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করছে। ইরান থেকে গ্যাস আমদানির জন্য পাকিস্তানে পাইপলাইনের পরিকল্পনা প্রায় এক দশক আগের। ইরানের অংশটি সম্পূর্ণ হলেও ২০২৪ সালে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর পাকিস্তান নিজেদের অংশে নির্মাণ বন্ধ রেখেছে।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার