২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ১০, ৫০ ও ১০০ টাকা দিয়ে খোলা স্বল্প আয়ের মানুষের ব্যাংক হিসাবে জমার পরিমাণ ১২ শতাংশ বেড়েছে। তবে, স্কুল ব্যাংকিং ও কর্মজীবী শিশুদের অ্যাকাউন্ট এই হিসাবের বাইরে। মূলত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সুবিধা দিতেই এই হিসাব খোলার সুযোগ দেওয়া হয় এবং এগুলোকে নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্ট (এনএফএ) বলা হয়।
এই নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স বা সার্ভিস চার্জ/ফি নেই এবং সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের পর এই অ্যাকাউন্টগুলোতে জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের জমার পরিমাণ আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ কম।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোতে ৩ কোটি ১১ লাখের বেশি নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্ট ছিল। তবে স্কুল ব্যাংকিং ও কর্মজীবী শিশুদের হিসাব বাদ দিলে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ২ কোটি ৭ লাখে।
সমাজের সব স্তরের মানুষের আর্থিক সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের আওতায় এসব অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।
সাধারণত চলমান সঞ্চয় হারের তুলনায় নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্টগুলোতে বেশি হারে সুদ দেওয়া হয়। এই ব্যাংকিং সুবিধাভোগীর মধ্যে আছেন- কৃষক, পোশাক শ্রমিক, অতি দরিদ্র, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধাভোগীরাসহ অনেকে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাবধারীরা ২০০ কোটি টাকা ও ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম থেকে ঋণ হিসেবে ৬২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছেন।
প্রবাসী আয় বিতরণেও নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্ট গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে এসব হিসাবে প্রবাসী আয় এসেছে ২৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
একই সময়ে এসব হিসাবের মাধ্যমে পাওয়া প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৪২ কোটি ৬৮ লাখ টাকায়, যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি।
এনএফএগুলোতে স্কুল ব্যাংকিংও অন্তর্ভুক্ত আছে, যেখানে ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা কেবল ১০০ টাকা জমা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
তবে, এসব অ্যাকাউন্টে কৃষকদের ১০ টাকা জমা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার সংখ্যা বেশি, যা ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার মোট অ্যাকাউন্টের ৩৮ দশমিক ১২ শতাংশ।
সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা আছেন দ্বিতীয়তে, যা মোট এনএফএ’র ৩৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। অতি দরিদ্ররা মোট নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্টের ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশের মালিক।
অর্থসংবাদ/এমআই