পবিত্র রমজান আসার মাস দুয়েক বাকি থাকতেই ওই সময়ের চাহিদাসম্পন্ন নিত্যপণ্য ছোলা, মুড়ি, ডাল, বেসন, খেজুরসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। ছোলা খুচরায় কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং ছোলার ডাল, খেসারির ডাল, মুগ ডাল ও বেসনের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।
আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, এলসি জটিলতাসহ নানা কারণে এবার আমদানি ব্যয় বেশি। এতে আমদানি করা এসব পণ্যের দাম বেড়েছে।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সাধারণত রমজানের দুই থেকে তিন মাস আগে থেকে খুচরা বিক্রেতারা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। এখন থেকেই পাইকারি বিক্রেতারা রোজার সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এতে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, মহাখালী কাঁচাবাজার ও জোয়ারসাহারা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রমজানকে ঘিরে গত এক মাসে ছোলার দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাসখানেক আগেও প্রতি কেজি ছোলার দাম ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। ছোলার ডাল কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। খুচরায় খেসারির ডাল প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগেও ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি। এক মাসের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মুগ ডালের।
রমজানের আগেই পণ্যের দাম চড়াকেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা দাম বেড়ে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশে বর্তমানে রেকর্ড দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৪৫ ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মহাখালী কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি বলেন, বর্তমানে বাজারে দুই ধরনের ছোলা বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় পুরনো ছোলা প্রতি কেজি ১০৫ থেকে ১১০ টাকা এবং নতুন বা সাদা ছোলা মানভেদে প্রতি কেজি ১২০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে জাতভেদে সব ধরনের খেজুরের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। দাবাস ও তিউনিসিয়ান জাতের মতো সাধারণ মানের খেজুরের কেজি এখন ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আজোয়া খেজুর মানভেদে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজি দরে।
অর্থসংবাদ/এমআই