চলতি বছর ভারতের কফি রফতানি ১০ শতাংশ বাড়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক বাজারে জনপ্রিয় পানীয় পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধি দেশটিতে কফি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলবে। পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলোয় পণ্যটির চাহিদা বৃদ্ধি এতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। খাতসংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দক্ষিণ এশীয় দেশ ভারত মূলত চা উৎপাদনকারী হিসেবে সুপরিচিত। তবে দেশটি একই সঙ্গে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম কফি উৎপাদনকারী। বিশ্বব্যাপী রোবাস্তা ও অ্যারাবিকা কফিই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ভারতে উৎপাদতি কফির মধ্যে সিংহভাগই রোবাস্তা। তবে কিছু পরিমাণে অ্যারাবিকা কফিও উৎপাদন হয় দেশটিতে।
এ বছর ১০ শতাংশ রফতানি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছেন ভারতের কফি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রমেশ রাজা। তিনি বলেছেন, শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশগুলোয় ফলন কমে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে কফির দাম বেড়েছে। এ কারণে ভারতীয় কফির চাহিদা, বিশেষ করে রোবাস্তা বিনের চাহিদা বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো দাম পাওয়ায় রফতানি ১০ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে রোবাস্তা কফির শীর্ষ রফতানিকারক ভিয়েতনাম। দেশটিতে ফলন কমে যাওয়ায় ভিয়েতনামি কফির দাম ১৫ বছরে সর্বোচ্চে উঠেছে। বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস বলছে, ২০২৩-২৪ বিপণন বছরেও দেশটিতে রোবাস্তার ফলন নিম্নমুখী থাকবে।
ভারত উৎপাদিত কফির তিন-চতুর্থাংশই প্রধানত ইতালি, জার্মানি ও বেলজিয়ামে রফতানি করে। ভারতে ছায়ায় চাষসহ কফি হাতে বাছাই করা হয় এবং রোদে শুকানো হয়। রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ভারতীয় কফির দাম বেশি থাকবে। কারণ বাজারে সরবরাহ ঘাটতি রয়েছে।
বেঙ্গালুরুভিত্তিক একজন আন্তর্জাতিক ডিলার জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে ভারত ২ লাখ ৭১ হাজার ৪২০ টন কফি রফতানি করেছে। ২০২৪ সালে রফতানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২ লাখ ৯৮ হাজার টনে।