যেদিকে তাকাবেন, কেবল খরচ আর খরচ। মাছ, মাংস, শাকসবজি, তরিতরকারি—কোনো কিছুতে হাত দেওয়ার জো নেই! এদিকে চলছে উৎসবের মৌসুম, দুর্মূল্যের এই বাজারে মনের শখ মিটিয়ে কেনাকাটা যে করবেন, কীভাবে! খরচের খাতের কোনো শেষ নেই। চলুন গ্রো বিজ মাইন্ডসেট অনুসারে জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে কমাবেন দৈনন্দিন খরচ।
১. ঘরের খাবার খান।
২. অফিসে লাঞ্চবক্স নিয়ে আসুন।
৩. গণপরিবহন ব্যবহার করুন।
৪. হাঁটুন, হেঁটে অফিসে যান, বাজারে যান।
৫. যখন যে সবজির দাম কম, তখন সেটা খান।
৬. যখন ছাড় চলে, তখন কেনাকাটা করুন। অফ সিজনে কেনাকাটা করুন। যেখানে যে জিনিসের দাম কম, সেটা সেখান থেকেই কিনুন।
৭. ব্র্যান্ড পরিহার করুন। একই রকম দেখতে, একই মানের সেবা দেয়, এমন কিছু আপনি স্থানীয় বাজারেই খুঁজে পাবেন।
৮. রিসাইকেল, আপসাইকেল করুন।
৯. সেকেন্ডহ্যান্ড শপ থেকে কেনাকাটা করুন।
১০. কেনার বদলে ধার করুন। যেমন ধরুন, কোথাও বেড়াতে যাবেন এক দিনের জন্য আর নতুন পোশাক কেনার দরকার কী! দাওয়াত খেতে যাবেন, গয়না না কিনে ধার করে পরুন।
১১. কার্ডে নয়, ক্যাশে পে করুন। খরচ অনেকটাই কমে আসবে।
১২. ঘরে কাপড় ইস্তিরি করুন।
১৩. ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করুন।
১৪. পানি কিনে খাওয়ার বদলে ফিল্টার ব্যবহার করুন।
১৫. কিছু শাকসবজি চাষ করুন। যেমন ছাদে বা বারান্দায় কাঁচা মরিচ, টমেটো, ধনেপাতা বা অন্যান্য শাকসবজি চাষ করুন।
১৬. ব্যবহৃত জিনিসপত্র ফেলে না দিয়ে ঠিক করে আবার ব্যবহার করুন।
১৭. পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস প্রয়োজনের বাইরে ব্যবহার করবেন না।
১৮. প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস বানিয়ে নিন। যেমন কাপড় কিনে পর্দা বানিয়ে নিলে খরচ প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে। ঘরের ল্যাম্পশেড বানিয়ে নিতে পারেন।
১৯. ঘরের অতিরিক্ত জিনিসপত্র বিক্রি করে দিন।
২০. এমন সব অ্যাপ ব্যবহার করুন, যাতে আপনার খরচ কমে। দামের তুলনা করা যায়, এমন অ্যাপ, খাদ্য–পুষ্টিবিষয়ক অ্যাপ, সবচেয়ে কম খরচে বিমানভাড়া বা হোটেল খোঁজার অ্যাপ ইত্যাদি।
২১. খরচ ভাগাভাগি করুন।
২২. সপ্তাহে এক দিন ‘নো স্পেন্ড ডে’ পালন করুন। সেদিন সারা দিন বাসায় থাকুন, বাইরে থেকে হেঁটে আসুন। মূল লক্ষ্য হলো একটি টাকাও খরচ না করে দিনটা পার করা। এভাবে খরচের অভ্যাসে লাগাম টানুন।
২৩. নিজের সঙ্গে সব সময় পানির বোতল বহন করুন।
২৪. ঘরের অতিরিক্ত জায়গা ভাড়া দিন।
২৫. অনলাইনে (হোয়াটসঅ্যাপে) কল করুন।
২৬. মাসের শুরুতেই একবারে মাসের বাজার করে ফেলুন।
২৭. ঘরেই করুন জিম।
অর্থসংবাদ/এমআই