ফিউচার মার্কেটে গতকাল বেড়েছে মালয়েশীয় পাম অয়েলের দাম। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিন ঊর্ধ্বমুখিতায় গেল ভোজ্যতেলটির বাজার। বিশ্লেষকরা বলছেন, ডালিয়ান ও শিকাগোতে সয়াবিনের মূল্যবৃদ্ধি এতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।
বুরশা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে গতকাল পাম অয়েলের দাম বেড়েছে টনপ্রতি ১০ রিঙ্গিত (২৩৫ টাকা ৫৩ পয়সা) বা দশমিক ২৭ শতাংশ। প্রতি এক হাজার টনের মূল্য উঠেছে ৭৯৪ ডলার ৬৬ সেন্টে বা ৩ হাজার ৬৯২ রিঙ্গিতে (৮৬ হাজার ৯৫৯ টাকা ৪৯ পয়সা)।
এদিকে চীনের ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (ডিসিই) সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে দশমিক ৬৫ শতাংশ। একই মার্কেটে পাম অয়েলের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে দশমিক ৩৬ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক বাজারে বিকল্প ভোজ্যতেলের দাম বিশেষ করে সয়াবিনের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে পাম অয়েলের দরে।
পাশাপাশি ওপেক অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন কিছুটা বাড়িয়েছে এবং সৌদি আরব তার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আরব লাইটের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
ফিউচার মার্কেটে জ্বালানি তেলের দাম কমলে বায়োডিজেলের চাহিদা কমে আসে। আর এর প্রভাবে বায়োডিজেল তৈরিতে পাম অয়েলের ব্যবহারও নিম্নমুখী হয়। অন্যদিকে মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতে পাম অয়েল বিক্রি হওয়ায় ডলারের বিপরীতে মুদ্রাটির বিনিময় হার বেড়ে গেলে বিক্রি কমে পণ্যটির। ডলারের বিপরীতে গতকাল রিঙ্গিত দশমিক ১৫ শতাংশ শক্তিশালী হয়েছে।
এসব কারণে শিগগিরই পাম অয়েলের দরপতন ঘটার পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। রয়টার্সের পণ্যবাজার বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা, পাম অয়েলের দাম ৩ হাজার ৭০৯ রিঙ্গিতে নামতে পারে।