জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার। সোমবার সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে পুনরায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান তিনি।
আনোয়ারুল হক কাকার এক্সে লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় আমি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই। আমি শেখ হাসিনার সফল এক মেয়াদ কামনা করি এবং তার নেতৃত্বে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করায় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে চীন, ভারত ও রাশিয়াসহ বিশ্বের ১০টি দেশের রাষ্ট্রদূত। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে গণভবনে চীন, ভারত, রাশিয়া ছাড়াও ভুটান, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, নেপাল, ব্রাজিল ও মরক্কোর রাষ্ট্রদূত শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতি তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা। জবাবে প্রধানমন্ত্রীও তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের যাত্রায় পাশের থাকার আহ্বান জানান তাদের।
সংসদ নির্বাচনের পরদিন সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি টেলিফোন করেও অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শেখ হাসিনাকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানানোর বিষয়ে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি এবং সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আমি বাংলাদেশের জনগণকেও অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশের সাথে আমাদের স্থায়ী এবং জনকেন্দ্রিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়। নির্বাচন হয়েছে ২৯৯ আসনে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন ১৯৭১ জন। ভোট নেওয়া হয়েছে ব্যালট পেপারে।
২৯৯ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে ২২২টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি ১১টি, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি এবং অন্যান্য দল ৩টি আসনে জয় পেয়েছে।
নির্বাচনের পর গতকাল বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল দাবি করেন নির্বাচনে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বড় অংশই বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে তারা ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নেয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। তবে ভোটগ্রহণের পরদিনই বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।