আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো ফুটবলার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া আসছেন বাংলাদেশে। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন ঢাকায় মার্টিনেজ ও রোনালদিনহোকে আনা কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত।
কলকাতা থেকে শতদ্রু দত্ত বলেন, ‘২০২৩ সালেই ডি মারিয়ার বাংলাদেশ ও কলকাতায় আসার কথা ছিল। ক্লাব (পোর্তো) থেকে ছুটি না পাওয়ায় আসতে পারেনি। ২৪ সালের মে’র শেষ সপ্তাহে অথবা জুনের প্রথমে ঢাকা ও কলকাতায় আসবে এটা নিশ্চিত।’
গত বছর জুলাইয়ে মার্টিনেজ ও অক্টোবরে রোনালদিনহো ঢাকায় এসেছিল শতদ্রু দত্তের মাধ্যমেই। যদিও দুই বিশ্ব তারকার আগমনের পর জন্ম হয়েছিল নানান বিতর্কের। কারণ সাধারণ দর্শকদের দেখা পায়নি দুই কিংবদন্তি। দেশের বর্তমান ও সাবেক কোনো তারকা ফুটবলারকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর্জেন্টাইন গোলকিপার মার্টিনেজের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। এ নিয়ে আয়োজকেরা অনেক প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন।
এবার আগের থেকেও বেশি সতর্ক কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত। আগের দুইবারের প্রাপ্ত শিক্ষা ডি মারিয়ার আগমনে কাজে লাগাতে চান, ‘এবার বাংলাদেশে একটু বেশি সময় থাকতে পারে। এবারের অনুষ্ঠান আরও সুন্দর ভাবে করার পরিকল্পনা। কোনো স্টেডিয়ামে বা বড় জায়গায় হতে পারে।’
সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে এবার আগে থেকেই কাজ শুরু করছেন শতদ্রু, ‘এখনো চার-পাঁচ মাস বাকি রয়েছে। বাংলাদেশে কারা এই মারিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে কিভাবে সব কিছু ঠিক হবে।’ বাংলাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠানের দত্তের সঙ্গে চুক্তি হয়নি মারিয়া আগমন উপলক্ষে। তবে দত্তের সঙ্গে মারিয়ার এজেন্টের আলোচনায় বাংলাদেশের বিষয়টি অনুমোদিত।
ডি মারিয়ার পর শতদ্রু দত্তর লক্ষ্য মেসিকে আনা, মারিয়াকে আনার পর মেসিকে নিয়ে কাজ করব ৷ ২৪ সালেই না হয় ২৫ সালে ভারতবর্ষে আনব তাকে।
শুধু তাই নয়, মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকেও আনার ইচ্ছা জানিয়ে শতদ্রু দত্ত বলেন, ‘বিশ্ব কিংবদন্তির অনেকেই এনেছি। মেসি-রোনালদো আনার পর আর কিছু বাকি থাকে না।’
অর্থসংবাদ/এমআই