দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৭টির ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ২২৩টিতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া ৬১টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আর জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। অন্যান্য দল থেকে জয়ের মুখ দেখেছেন দুই প্রার্থী।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১টায় সারাদেশের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
দিনাজপুর-১ আসনে মো. জাকারিয়া, নীলফামারী-৩ মো. সাদ্দাম হোসেন (পাভেল), নীলফামারী-৪ মো. সিদ্দিকুল আলম, রংপুর-১ মো. আসাদুজ্জামান, রংপুর-৫ মো. জাকির হোসেন সরকার, কুড়িগ্রাম-২ মো. হামিদুল হক খন্দকার, গাইবান্ধা-১ আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, গাইবান্ধা-২ শাহ সারোয়ার কবীর, বগুড়া-৩ খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ্ আল মেহেদী, নওগাঁ-৪ এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ, নওগাঁ-৬ মো. ওমর ফারুক সুমন, রাজশাহী-২ মো. শফিকুর রহমান বাদশা, নাটোর-১ মো. আবুল কালাম, কুষ্টিয়া-১ মো. রেজাউল হক চোধুরী, কুষ্টিয়া-২ মো. কামারুল আরেফিন, কুষ্টিয়া-৪ আবদুর রউফ, ঝিনাইদহ-২ মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, যশোর-৫ মো. ইয়াকুব আলী, যশোর-৬ মো. আজিজুল ইসলাম, বরগুনা-১ গোলাম সরোয়ার টুকু, বরিশাল-৪ পংকজ নাথ, পিরোজপুর-২ মো. মহিউদ্দীন মহারাজ, পিরোজপুর-৩ মো. শামীম শাহনেওয়াজ, টাঙ্গাইল-৩ আমানুর রহমান খান রানা, টাঙ্গাইল-৪ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন, জামালপুর-৪ আবদুর রশীদ, শেরপুর-১ মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু, ময়মনসিংহ-১ মাহমুদুল হক সায়েম, ময়মনসিংহ-৫ মো. নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-৬ মো. আব্দুল মালেক সরকার, ময়মনসিংহ-৭ এ বি এম আনিছুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৮ মাহমুদ হাসান সুমন, ময়মনসিংহ-১১ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ, নেত্রকোণা-৩ ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু, কিশোরগঞ্জ-২ সোহ্রাব উদ্দিন, মানিকগঞ্জ-১ সালাউদ্দিন মাহমুদ, মানিকগঞ্জ-২ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ, মুন্সীগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ ফয়সাল, ঢাকা-৪ মো. আওলাদ হোসেন, ঢাকা-৫ মশিউর রহমান মোল্লা সজল, ঢাকা-১৮ মো. খসরু চৌধুরী, ঢাকা-১৯ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, গাজীপুর-৫ আখতারউজ্জামান, নরসিংদী-৩ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, ফরিদপুর-৩ আব্দুল কাদের আজাদ, ফরিদপুর-৪ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মাদারীপুর-৩ মোসা. তাহমিনা বেগম, সিলেট-৫ মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী, হবিগঞ্জ-১ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৪ সৈয়দ সায়েদুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ এস এ কে একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. মঈন উদ্দিন, কুমিল্লা-২ মো. আবদুল মজিদ, কুমিল্লা-৩ জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা-৪ মো. আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-৫ এম এ জাহের, লক্ষ্মীপুর-৪ মো. আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম-৮ আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম-১৫ আব্দুল মোতালেব এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মুজিবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।
এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটেছে। অনিয়মের কারণে ২১টি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য ১৫ ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী।
এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।
ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।
অর্থসংবাদ/এমআই