সকাল থেকে বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলেছে। চলতি ২০২৪ সালের নির্বাচন হবে দক্ষিণ এশিয়ার আরও ৩ দেশে। এই দেশগুলো হলো ভুটান, ভারত এবং পাকিস্তান। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
দক্ষিণ এশিয়ার সর্বশেষ দেশ হিসেবে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় প্রবেশ করা ভুটানে পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের দু’দিন পর— ৯ জানুয়ারি। আজ থেকে ১৫ বছর আগে দেশটিতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা শুরু হয় ভুটানে। তার আগে দেশটিতে রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল।
আগামী ৯ জানুয়ারি ভুটানে যে নির্বাচন হবে, তাতে অংশ নেবে দেশটির ৫টি রাজনৈতিক দল। এই দলগুলো হলো দ্রুক নিয়ামরুপ শোগপা (ডিএনটি), পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি), দ্রুক ফুয়েনসুম শোগপা (ডিপিটি) এবং দ্রুক থান্দ্রেল শোগপা (ডিটিটিপি)। এই পাঁচটি দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে যে রাজনৈতিক দল, সেটি সরকারে ক্ষমতাসীন হবে; আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত দলটি হবে প্রধান বিরোধী দল।
ভুটানের পার্লামেন্ট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল কাউন্সিলের ভোট হবে ৯ জানুয়ারি। এই কক্ষের মোট আসন ৪৭টি।
এবারের নির্বাচনে নারী প্রার্থী খুব বেশি না থাকলেও বিগত নির্বাচনের তুলনায় এবার অনেক বেশি সংখ্যক নারী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করছে ভুটান সরকার।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ১৬ তম নির্বাচন হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে দেশটির প্রায় সব দল অংশ নিলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ৭টি দলের মধ্যে। এ দলগুলো হলো পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান, জমিয়াত উলেমা ইসলাম ফাজল, পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ এবং জামায়াতে ইসলামি।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ভোট দেবেন ১২ কোটি ৮৫ লাখ ভোটার। তবে দেশটির সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন নাগরিক গোষ্ঠীর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় যে সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা প্রকৃতসংখ্যক ভোটারের চেয়ে অন্তত দেড় কোটি কম। তালিকা থেকে বাদ পড়া ভোটারদের বেশিরভাগই নারী ভোটার।
ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায়ও নির্বাচন হবে চলতি ২০২৪ সালেই। তবে ভোটগ্রহণের দিন এখনও ঘোষণা করেনি ভারতের নির্বাচন কমিশন। দেশটিতে বর্তমানে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার আগামী নির্বাচনেও জিতবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। এই মুহূর্তে দক্ষিণ ভারতের কোনো রাজ্যেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতে বিশেষ প্রভাব রাখার পাশাপাশি এবং ক্ষেত্রবিশেষে তা পুনর্গঠনও করতে পারে চলতি বছরের এসব নির্বাচন।
অর্থসংবাদ/এমআই