বছরখানেক ধরে অস্থিতিশীল পেঁয়াজের বাজার। কখনো অসাধু আড়তদার-ব্যবসায়ীদের কর্মকাণ্ডে, কখনো ভারত সরকারের নানান নিয়মে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। শেষবার, ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় দেশে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। এবার ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার খবরে দেশের পাইকারি বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা কমেছে।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে এ চিত্র দেখা গেছে। তিন দিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারটিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪৫-৫০ টাকা কমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে। তখন আড়তে মজুদ থাকা পণ্যটি বিক্রি করতে পারবেন না তাঁরা। তাই লোকসান দিয়ে হলেও পেঁয়াজ বিক্রি করছেন আড়তদাররা।
এদিকে উৎপাদন বাড়ায় ভারতের পাইকারি ও খুচরা বাজারে গড়ে ৩০ শতাংশ কমেছে পেঁয়াজের দাম। তাই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে দেশটির সরকার। এক সরকারি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এমন তথ্য দিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।
গত ৮ ডিসেম্বর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তখন বলা হয়েছিল, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত থাকবে। এতে বাংলাদেশে পণ্যটির দাম প্রতিকেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর দেশীয় উত্পাদনের পেঁয়াজ বাজারে এলে পণ্যটির দাম কিছুটা কমে আসে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন দিন আগে ভারত থেকে আমদানি হওয়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। এখন একই পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। এতে কেজিতে দাম কমেছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
চীন থেকে আমদানি করা বড় জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজি দরে। কিন্তু তিন দিন আগে একই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। এতে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দাম কমেছে।
পাবনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে আসা দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। কিন্তু তিন দিন আগে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। কমেছে ১৫ টাকা।
অর্থসংবাদ/এমআই