বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের নতুন কূপে আরো প্রায় এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ পাওয়া যেতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২৪ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে কোনো সমস্যার মুখে পড়বে না। জ্বালানি সরবরাহ কঠিন হলেও আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি।
নসরুল হামিদ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও বাড়লে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট আরও গভীর হতে পারে। তখন এটি বাংলাদেশের জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
তিনি বলেন, বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে মূল্য নির্ধারণ বেশ কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে একটি যা নিয়ে সরকার এখন কাজ করছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে ভর্তুকি থেকে বের করে আনাই সরকারের লক্ষ্য।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারের জ্বালানি তেলের দাম সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে সরকার আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটি স্বয়ংক্রিয় গতিশীল জ্বালানি-মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে। এই পরিকল্পনার আওতায় প্রতি মাসে একবার পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম সমন্বয় করা হবে।
বর্তমানে সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জ্বালানির দাম নির্ধারণ করে।
তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশ মোট ৩টি ব্লক থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে। তাদের হাতে রয়েছে ব্লক-১২ নম্বরে থাকা বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র, ব্লক-১৩ নম্বরে থাকা জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্র ও ব্লক-১৪ নম্বরে থাকা মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্র। এর মধ্যে বিবিয়ানা দেশের অন্যতম বড় গ্যাসক্ষেত্র।
পেট্রোবাংলার মতে, ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত শেভরন বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার ২৩২ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস উৎপাদন করেছে, যা স্থানীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত মোট গ্যাসের ৬০ শতাংশ।