বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আশা করছি সামনের বছর বিদ্যুতের চাহিদা এই বছর থেকে ৮ থেকে ১০ শতাংশ বাড়বে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
সামনের দিনগুলো বা আগামী গ্রীষ্মের জন্য বিদ্যুৎ খাতের প্রস্তুতি কেমন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দুটোরই পরিস্থিতি ভালো। সামনের বারের প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছি আমরা। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ধীরে ধীরে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, মার্চ-এপ্রিল-মে-জুন মাসে… আমরা আশা করছি সামনের বছর বিদ্যুতের চাহিদা এই বছর থেকে ৮ থেকে ১০ শতাংশ বাড়বে। এটা একটা বড় বিষয়। এটাকে সামনে ধরে আমরা সেভাবে পরিকল্পনা নিয়েছি। এখন বাকিটা নির্ভর করছে বহির্বিশ্বের ওপর, সেখানে জ্বালানি সংকট হলে আমরা বিপদে পড়ব। তবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যও আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা আশাবাদী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্ষেত্রে ২০২৪ সালে কোনো সমস্যা হবে না।
বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসলে খরচ কমে যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের একটা বিষয় চিন্তা করতে হবে, আমরা যখন বড় প্ল্যান্টগুলোর হিসাব করেছি তখন ৭০ থেকে ৭৫ ডলার কয়লা হিসাব করলাম। এখন ৯০ ডলার করে আমরা কয়লার হিসাব (দাম) পাচ্ছি। কিন্তু তখন ডলারের দাম তো ধরেছিলাম ৭৫ টাকা; এখন ১৪০ টাকা, ১২৫-১৩০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। ডলারের দামে একটা বড় ব্যবধান হয়ে গেছে। সেখানেও দামের ব্যবধান বেড়েছে। ডলারের দামের ব্যবধানের কারণে আমাদের তেলের দাম, গ্যাসের দাম, কয়লার বা বিদ্যুৎ ও জ্বালানির কাঁচামালের দামে একটা বড় ব্যবধান এসেছে।