ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইসাবের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোঃ নিয়াজ আলী চিশতি এবং মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন জাকির উদ্দিন আহমেদ।
ইসাবের নতুন সভাপতি মোঃ নিয়াজ আলী চিশতি সংগঠনটির বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতির দায়িত্ব ছিলেন। বর্তমানে তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ইসাবের বিদায়ী সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর ও মহাসচিব এম মাহমুদুর রশিদ নতুন পরিচালনা পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদে জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব নিয়েছেন এসএম শাহজাহান সাজু। ইসাবের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন যথাক্রমে মতিন খান, মোহাম্মদ ফয়সাল মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. মঞ্জুর আলম, এবং এম মাহমুদুর রশিদ। এছাড়া ইসাবের যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে মোঃ মাহমুদ-ই-খোদা, সহকারী মহাসচিব হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহাবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মোঃ নূর-নবী, প্রচার সম্পাদক হিসেবে মো. নজরুল ইসলাম, পরিচালক হিসেবে মো. ওয়াহিদ উদ্দিন, ইঞ্জিঃ মোঃ আল-এমরান হোসেন, মেজর মোহাম্মদ আশেক কামাল (অবসরপ্রাপ্ত), এবং মো. রফিকুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
ইসাবের নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে অর্থনৈতিক কার্যক্রমও সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমাদের এখন নিরাপদ, পরিবেশ বান্ধব এবং টেকসই শিল্পায়নের দিকে অগ্রসর হতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ বাসা-বাড়িতেও বৈদ্যুতিক এবং অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সম্পদ ও জানমালের সুরক্ষা দিতে হবে। শুধু রপ্তানি খাত নয়, অভ্যন্তরীন বাজারের জন্যও আমাদের কমপ্লায়েন্স হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে ইসাবের ব্যাপকভাকে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
আমিন হেলালী জানান, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, নগরায়ন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সরকারের নানা প্রণোদনার কারনে গত এক দশকে দেশে ইলেকট্রনিকস সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি পণ্যের চাহিদা বেড়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ। সেই সাথে শিল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং গৃহস্থালি ও আবাসন খাতেও ‘সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি’ বিষয়টির গুরুত্ব বেড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে, আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে দেশেই ইলেকট্রনিকস সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি পণ্য বা যন্তাংশ উৎপাদন শুরু করতে ইসাবের সদস্যদের আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ইসাবের নতুন সভাপতি মোঃ নিয়াজ আলী চিশতি বলেন, টেকসই উন্নয়ন, শিল্পের বিকাশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্নিনিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কোন বিকপ্ল নেই, যা কোন ভাবেই ইসাব সদস্যদের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ বিনিয়োগের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিনিয়ত ইসাব সদস্যরা ভূমিকা রেখে চলেছে। আমদানি নির্ভর এই সেক্টর দেশীয় উৎপাদনে রূপান্তরিত হয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি আকর্ষণীয় খাত হতে পারে। দেশে কীভাবে অগ্নিনিরাপত্তা এবং সুরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করা যায় তা নিয়ে আমাদের ব্যাপক ভাবে কাজ করতে হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় আগামী দু’বছরের জন্য (২০২৩-২-২৫ মেয়াদ) ইসাবের দায়িত্ব নেয়া নতুন পরিচালনা পর্ষদের ওপর আস্থা রাখতে এবং সহযোগিতা করতে সকল সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সংগঠনটির সভাপতি মোঃ নিয়াজ আলী চিশতি।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেঃ কর্ণেল মোঃ রেজাউল করিম, পিএসসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ’র এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ হাতেম, এফবিসিসিআই’র পরিচালকবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।