বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি তাদের তিনটি নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। যা ফিল্ডিংরত দলকে বেশ কড়াকড়ির মুখে ফেলে দিতে পারে। ডিআরএস প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কনকাশন নিয়মে আনা হয়েছে এই পরিবর্তন। বদল করা হয়েছে মাঠে চোট পরীক্ষার সময়ের নিয়মেও। এখন আর স্টাম্পিং আউটের আবেদনে ক্যাচ আউট হয়েছে কি না, সেই পরীক্ষা করা হবে না। ক্যাচের জন্য ফিল্ডিংরত দলকে আলাদা রিভিউ নিতে হবে।
একইভাবে কোনো বোলার ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়লেও, তার পরিবর্তে নামা ক্রিকেটারের বল করার ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আর মাঠে চোটের চিকিৎসার জন্য কোনো দল সর্বোচ্চ ৪ মিনিট সময় পাবে বলেও নতুন এই নিয়মে জানানো হয়।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালে এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেও, গত ১২ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিসি। আগে কোনো ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে স্টাম্পড আউটের আবেদন করে রিভিউ নিলে, তখন দেখা হতো তার ব্যাট ছুঁয়ে ক্যাচ উইকেটরক্ষকের হাতে গেছে কি না। ফলে একবার সামনে থেকে এবং আরেকবার পাশ থেকে রিভিউ দেখতেন থার্ড আম্পায়ার। সেটি আর হবে না। স্টাম্পিংয়ের আবেদনে কেবল ব্যাটসম্যান ক্রিজে আছেন কি না সেটা দেখা হবে।
জানিয়েছে, এবার থেকে স্টাম্প আউটের আবেদন করলে ব্যাটার স্টাম্প আউট হয়েছেন কি না সেটিই শুধু দেখা হবে। উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচের আবেদন করলে দ্বিতীয়বারের জন্য রিভিউ নিতে হবে বোলিং দলকে। অর্থাৎ, এক আবেদনে একাধিক আউটের রিভিউ আর নেওয়া যাবে না।
কনকাশন নিয়মেও পরিবর্তন এনেছে আইসিসি। কোনো দলের বোলার যদি চোটের কারণে উঠে যান এবং পরিবর্তে অন্য বোলার নামেন, তখন তার বল করার ওপরও শর্ত রয়েছে। বদলি বোলার তখনই বল করতে পারবেন, যদি আগের বোলার বল করার সময় চোট পান। যদি অন্য কোনো সময় তিনি চোট পান, তাহলে বদলি হিসেবে বিকল্প কোনো বোলার নামলেও তিনি বল করতে পারবেন না।
আগে মাঠে চোট পেলে ক্রিকেটারদের পরীক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় ছিল না। ফলে ফিল্ডিংরত দল প্রয়োজন অনুযায়ী সময় নিত। কিন্তু এখন থেকে মাঠে চোট পেলে ৪ মিনিটের বেশি সময় নিতে পারবেন না চিকিৎসকরা। এর মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদের। মাঠে যাতে অতিরিক্ত সময় নষ্ট না হয়, সেজন্যই এই নিয়মে বদল করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এমআই