অর্থনীতি
বুড়িমারী স্থলবন্দর বন্ধ থাকবে তিন দিন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তিন দিনের ছুটিতে যাচ্ছে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর। এ সময় সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে পুলিশ অভিবাসনচৌকি (ইমিগ্রেশন) খোলা থাকায় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বুড়িমারী কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুজ্জামান ছায়েদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিঅ্যান্ডএফের সভাপতি বলেন, বুড়িমারী শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর এবং ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ৮ জানুয়ারি বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিসহ সব ব্যবসায়ী কার্যক্রম চালু করা হবে।
জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৬ থেকে ৭ জানুয়ারি ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখবে সে দেশের ব্যবসায়ীরা।
বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৯ ব্যাংকের সাথে লেনদেন স্থগিত করল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ
৯টি ব্যাংক থেকে ইস্যুকৃত সকল প্রকার পে-অর্ডার, চেক, ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস শাকুর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উপযুক্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের সকল কার্যক্রমে নিম্নোক্ত ব্যাংগুলো থেকে ইস্যুতব্য সকল প্রকার পে-অর্ডার, চেক, ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
৯টি ব্যাংক হলো- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিলসি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক পিলসি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিলসি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিলসি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিলসি, পদ্মা ব্যাংক পিলসি, ন্যাশনাল ব্যাংক পিলসি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক পিলসি।
এতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশে তুলা রপ্তানিতে ধীরগতি, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে বেশ কয়েক দিন অস্থিতিশীল থাকার পর পুরোনো ক্রয়াদেশের পণ্য সরবরাহ করতে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও ফুটওয়্যার শিল্প আবারও পুরোদমে কাজে লেগে গেছে। শ্রমিকেরাও অতিরিক্ত কাজ করছেন। তার পরও বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে আপাতত ক্রয়াদেশ স্থগিত রেখেছেন সাময়িকভাবে। আর এর প্রভাব গিয়ে পড়েছে ভারতেও। বাংলাদেশে দেশটির তুলা রপ্তানি কমে যেতে শুরু করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সংবাদমাধ্যমটি ভারতীয় তৈরি পোশাক খাতের নির্বাহীদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশে তুলা রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়ে চেন্নাইভিত্তিক ফরিদা গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিক আহমেদ বলেন, ‘পশ্চিমা কোম্পানি থেকে নতুন অর্ডার আসছে না। শ্রমিকেরা ও প্রশাসন বোঝে যে, উৎপাদন হলো লাইফলাইন এবং তারা অর্ডার সম্পূর্ণ করার জন্য ওভারটাইম কাজ করছে। অর্ডার পূরণের জন্য কিছু আইটেম ভারত থেকে নেওয়া হয়, এমনকি টেকনিশিয়ানও নেওয়া হয়।’
বাংলাদেশের ফুটওয়্যার শিল্পে বিনিয়োগ করা এই গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘বেশির ভাগ উৎপাদন কার্যক্রম হয় ঢাকা ও চট্টগ্রামে, যা বিক্ষোভ থেকে তুলনামূলকভাবে বিচ্ছিন্ন ছিল। আগস্টের শুরুতে ব্যাঘাত ঘটেছিল, কিন্তু এখন স্বাভাবিকতা ফিরে আসছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হওয়ায় অনুকূল শুল্ক ব্যবস্থার কারণে পশ্চিমারা শিগগির আবার দেশটিতে ক্রয়াদেশ দেওয়া শুরু করবে।’
কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির মহাসচিব চন্দ্রিমা চ্যাটার্জি বলেন, ‘পশ্চিমা কোম্পানিগুলো ভারতকে একটি বিকল্প হিসেবে দেখছে। কিন্তু সরবরাহ করার ক্ষমতার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। এই মুহূর্তে ভারতীয় ও বাংলাদেশি পণ্যের অফারগুলোর মধ্যে গুণগত ও পরিমাণগত পার্থক্য আছে।’ তিনি জানান, ভারতেও কিছু ক্রয়াদেশ যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে গার্মেন্টস ও ফুটওয়্যার শিল্পের জন্য কিছু কাঁচামাল রপ্তানি কমে যাওয়ায় পুরো বিষয়টির ওপর তাৎক্ষণিক প্রভাব নেতিবাচক হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় পোশাক খাতের এক নির্বাহী বলেন, বাংলাদেশে চলমান সংকটের আগে থেকেই পশ্চিমা কোম্পানিগুলো ভারতের দিকে নজর রেখেছিল। ইউরোপীয়রা বাংলাদেশের মানবাধিকার ইস্যুতে ক্রমশ উদ্বিগ্ন, তাই ভারতের বাজারের দিকে তাকিয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অস্থিরতা কিছু সময় আগে শুরু হলেও ক্রয়াদেশ ভারতে সরানো হয়নি। সেগুলোর বেশির ভাগই যাচ্ছে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায়। ভারতে অনেক সুযোগ আছে, কিন্তু আমাদের পণ্যের গুণগত অবস্থান বদলাচ্ছে না এবং এর ফলে আমরা সুবিধাও হাসিল করতে পারছি না।’
বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পোশাকশিল্প দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি অর্জন করে এবং দেশের জিডিপিতে এর প্রভাব ১১ শতাংশ। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের তথ্যমতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর উচ্চতর ইনপুট খরচ, প্রতিকূল আবহাওয়াসহ বিদ্যুৎ উৎপাদনের অবকাঠামো দুর্বল হওয়ার কারণে বাংলাদেশের ৪৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাকশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আগস্টের শুরুতে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছিলেন, প্রতিবেশী বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ঘটনাবলির কারণে ভারতীয় পোশাক খাত ‘একটু অনিশ্চয়তার’ মুখোমুখি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার ‘পরে নয় বরং তাড়াতাড়ি’ বিষয়গুলো সমাধান করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশে সরকার পাল্টালেও তেল সরবরাহ বন্ধ হবে না: ভারত
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও তা আসামের নুমালিগড় রিফাইনারিকে তেল পাঠানো থেকে বিরত রাখবে না। গতকাল শুক্রবার কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আসামের গোলাঘাট জেলায় অবস্থিত নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ভারতবিরোধী মনোভাব থাকলেও প্রতিবেশী দেশটিতে (আমাদের) কার্যক্রম প্রভাবিত হয়নি।’
নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড ও ওয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাম ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর. রাথ বলেছেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন বা দেশে আমাদের কার্যক্রমে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কোনো প্রভাব পড়েনি। আমরা আমাদের শিলিগুড়ি টার্মিনাল থেকে উত্তর বাংলাদেশে এবং (দক্ষিণ আসামের) শিলচরের কাছে বিকশিত টার্মিনাল থেকে উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশে কার্যক্রম বাড়াচ্ছি।’
এর আগে, ২০২৩ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নুমালিগড় থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুরের মধ্যে ডিজেল পাইপলাইনটি উদ্বোধন করেন। এটি দুই দেশের প্রথম আন্তসীমান্ত জ্বালানি সরবরাহ পাইপলাইন, যা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল পরিবহন হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জুন প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধিতে ভাটা
গত এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে। গত পাঁচ প্রান্তিকের মধ্যে সমাপ্ত জুন প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে সর্বনিম্ন।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ভারতের ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (এনএসও) জানিয়েছে, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। গত বছর একই প্রান্তিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ২। মূলত কৃষি খাতের গতি কমে যাওয়ায় জিডিপির সূচক নিম্নমুখী হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমসের
কয়েক দিন আগেই রয়টার্সের এক জরিপে বলা হয়েছিল, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাবে। এবার ভারতের সরকারি পরিসংখ্যানেই জানা গেল, প্রবৃদ্ধি কমেছে।
করোনা মহামারির শুরুতে ২০২০ সালে ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছিল। এরপর দেশটি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও বেশ ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে দেশটি। গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৪ ছাড়িয়ে যায়। তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, এটাই ভারতের অর্থনীতির সক্ষমতা।
সেই সঙ্গে গত কয়েকটি প্রান্তিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশের ওপর বা তার আশপাশে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি-মার্চে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। তবে এ বছর এপ্রিল-জুন অর্থবছরে চীনের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ৭। ফলে এই প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার কমলেও এখনো তারা বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল।
এনএসওর তথ্যানুযায়ী, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ভারতে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধির গতি কমে গেছে; এই সময় দেশটির কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ শতাংশ। আগের প্রান্তিকে যা ছিল ৩ দশমিক ৭। উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের আশপাশে আছে; যদিও আবাসন ও কর্মক্ষেত্রে জিভিএ (দেশের বাজারে উৎপাদিত পণ্য ও পরিষেবার মোট মূল্য) ১২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে ৭ দশমিক ১ শতাংশে নেমেছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, জিডিপির চেয়ে জিভিএর হিসাব দিয়ে অর্থনীতির চালচিত্র বেশি বোঝা যায়। জিভিএর সঙ্গে কর ও ভর্তুকির নিট ফলাফল যোগ করে জিডিপির হিসাব পাওয়া যায়। ধরা যাক, দেশে গত বছর ১০০ টাকা মূল্যের পণ্য তৈরি হয়েছিল। এ বছরও ১০০ টাকা মূল্যের পণ্য তৈরি হয়েছে। জিভিএর হিসাব বলবে, বৃদ্ধির হার শূন্য। কিন্তু ওই পণ্যের ওপর যদি এ বছর ২০ টাকা কর চাপে, তাহলে গত বছরের জিডিপি ১০০ টাকা হলেও এ বছর তা ১২০ টাকা হবে। সে ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও অন্যান্য লাভজনক ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৪ থেকে বেড়ে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। নির্মাণ খাতে গত বছর একই সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ৬। এই প্রান্তিকে তার হার ১০ দশমিক ৫। হোটেল, পরিবহন ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার কমেছে; নেমে এসেছে ৪ শতাংশে। যদিও চলতি বছর প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের কাছাকাছিই থাকবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞেরা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের চার প্রান্তিকেই ভারতের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশের বেশি। গত বছরের এপ্রিল-জুন থেকে শুরু করে প্রথম তিনটি প্রান্তিকে তা ছিল ৮ শতাংশের ওপরে। ফলে গত অর্থবছরে বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে দ্রুততম প্রবৃদ্ধির দেশ ছিল ভারত। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, চলতি বছর হয়ে যাওয়া নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে মোদি সরকার বিপুল পরিমাণে অর্থ ব্যয় করেছে। কিন্তু নির্বাচনের পর সরকারি ব্যয় কমেছে। সে কারণেই প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে। আশঙ্কা আছে, প্রবৃদ্ধির হার আরও কমে যেতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ, অনুসন্ধানে সিআইডি
এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম, তার স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও হুন্ডির মাধ্যমে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা আজাদ রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে ইনকোয়ারি করছি। দ্রুত আপনাদের জানাব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডির ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, সিআইডির ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এস আলমের পরিবার ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে এ অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট সূত্রে জানা যায়, এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন ও দুই ছেলে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সাইপ্রাসসহ ইউরোপে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করেছেন। এসব টাকা দিয়ে তারা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রয় ও ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। পাচারকৃত অর্থে সিংগাপুরে ২৪৫ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা পরিশোধিত মুলধনের ক্যানালি লজিস্ট্রিক প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া ভুয়া নথি তৈরি, জাল-জালিয়াতি এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে নামে-বেনামে ছয়টি ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন। বিদেশে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান শেল কোম্পানি খুলে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৮ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এস আলমসহ তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ছেলে আহসানুল আলম ও আশরাফুল আলমসহ তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিআইডির ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছি। কয়েকদিনের মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করব।
আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) বা আগামীকাল রবিবার সিআইডির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।