গ্রাহকদের দেনা পরিশোধ এবং পণ্য না পাঠানো নিয়ে ইভ্যালির বিপক্ষে প্রায় ৬ হাজার মামলা চলমান রয়েছে। এতে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এতদিন জেলে থাকার পর সম্প্রতি মুক্তি পান। ছাড়া পেয়েই ফের চালু করেন ‘বিগ ব্যাং’ ক্যাম্পেইন। তবে ঋণ পরিশোধের কয়েক হাজার মামলা নিষ্পত্তির আগেই নতুন অফারের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনার ঘোষণা দেয়ায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আগামী ৭ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলেছে সংস্থাটি।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি মামলা চলমান আছে। সেগুলো নিষ্পত্তি না করেই তারা আবারও ব্যবসা শুরু করেছে। এ কারণ জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
ভোক্তার ডিজি জানান, ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এতদিন জেলে থাকায় ভোক্তা অধিকার মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কিন্তু এখন যেহেতু তিনি কারামুক্তি পেয়েছেন সেহেতু মামলা নিষ্পত্তিতে ভোক্তা অধিকারের ওপর ভোক্তাদের চাপ রয়েছে। ভোক্তা অধিকারকে ভোক্তার স্বার্থ দেখে কাজ করতে হয়। তাই প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে।
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। এরপর প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। শর্ত সাপেক্ষে গত ৬ এপ্রিল শামীমা নাসরিন জামিনে মুক্ত হন।
আর গত ডিসেম্বরে জামিনে মুক্ত হন মোহাম্মদ রাসেল। এরপর গত ২৯ ডিসেম্বর বিপুল ছাড় অফারে ’বিগ ব্যাং’ ক্যাম্পেইন করে ইভ্যালি। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ৮০ হাজারের বেশি অর্ডার পায় বলে জানিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন গেটওয়েতে ইভ্যালির গ্রাহকদের ২৫ কোটি টাকার মতো আটকে ছিল। নগদের কাছে ১৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, বিকাশের কাছে ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা, এবং এসএসএল কমার্সের কাছে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা আটকে ছিল। এর মধ্যে থেকে গত নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৮৮২ জন গ্রাহককে মোট ১০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব হয়েছে।
এমআই