প্লাস্টিক শিল্প খাতে ১৫ শতাংশ হারে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। ২০২৩ সালে প্রণীত প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতিমালায় এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। পাঁচ বছর মেয়াদি এ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়, যা ২০২৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সেলিম উল্লাহ সম্প্রতি নীতিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
নীতিমালায় প্লাস্টিক শিল্পের বাজার সম্প্রসারণে বড় লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। নীতিমালার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্যের বাজার প্রায় ২৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এর মধ্যে ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ দেশী আর অবশিষ্ট ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ আন্তর্জাতিক। প্লাস্টিক ও প্যাকেজিং শিল্পের বাজার ২০২৮ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ও ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
নীতিমালায় নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে প্লাস্টিক শিল্পের উন্নয়নে নীতিসহায়তা দিতে একটি সময়াবদ্ধ পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ পরিকল্পনায় নয়টি কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে স্থানীয় শিল্পগুলোর সংখ্যা বৃদ্ধি, সক্ষমতা তৈরি, আন্তর্জাতিক বাজারে অভিগম্যতা বৃদ্ধিতে আধুনিক প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, রফতানি বৃদ্ধিতে কমপ্লায়েন্স বাড়ানো এবং দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দেশী শিল্পগুলোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতে প্লাস্টিক খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোকে স্বল্পসুদে বিশেষ করে তহবিল খরচের সঙ্গে ৩ শতাংশ সুদে ঋণ প্রদানের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, নতুন পণ্য, উপজাত থেকে চূড়ান্ত পণ্য, জ্বালানি ও পানির কার্যকর এবং দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনকারী শিল্পকে কর অব্যাহতি এবং ক্ষুদ্র ও কুটির প্লাস্টিক শিল্পকে কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করা হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত জাতির স্বীকৃতির লক্ষ্য নিয়ে প্রণীত হয়েছে এ নীতিমালা। ২০২১ সালে খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়। প্রায় দুই বছর পর এ নীতিমালার ওপর স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে চলতি বছরের জুনে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।