ক্যাটাগরি: অর্থনীতি

মিসর-রাশিয়া বাণিজ্য ৭০০ কোটি ডলারে উন্নীত

রাশিয়া ও মিসরের মধ্যে বাণিজ্য গত বছরের শেষ নাগাদ ৭০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে রাশিয়ার বাণিজ্য প্রতিনিধি আলেক্সি তেভানিয়ান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। তার মতে, ‌মিসরে রফতানি বাড়ায় রাশিয়ার সঙ্গে পারস্পরিক বাণিজ্য বেড়েছে। খবর আরটি।

উভয় দেশের বাণিজ্যসংশ্লিষ্টরা জানান, পারস্পরিক বাণিজ্যে ইতিবাচক গতিশীলতা গত বছর অব্যাহত ছিল, যা বছরের শেষ নাগাদ ২০২২ সালের তুলনায় এক-চতুর্থাংশ বেড়েছে। আগামী বছর এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। ২০২২ সালে মস্কো ও কায়রোর মধ্যে বাণিজ্য বিনিময় বছরে ৩০ শতাংশ বেড়ে ৬০০ কোটি ডলারের বেশি হয়েছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মিসরীয় কোম্পানিগুলো মস্কোর সঙ্গে লেনদেনে জাতীয় মুদ্রা ব্যবহার করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

রাশিয়ার বাণিজ্য প্রতিনিধি আলেক্সি তেভানিয়ান বলেছেন, ‘‌গত কয়েক বছর ধরে মিসরে ডলার ও ইউরোর সংকট চলছে। এ কারণে সরবরাহ করা পণ্যের অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে মিসরীয় ব্যবসায়ীরা জাতীয় মুদ্রায় লেনদেনে আগ্রহী।’

আলেক্সি তেভানিয়ান জানান, সব চেয়ে বেশি বাণিজ্য বেড়েছে কৃষিপণ্য ও সরঞ্জাম খাতে। বিশ্বের শীর্ষ গম আমদানিকারকদের মধ্যে অন্যতম মিসর। ২০২৩ সালজুড়ে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি শস্য সরবরাহ করেছে রাশিয়া। দেশটিতে ৮০ লাখ টনেরও বেশি শস্য সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ভোজ্যতেল ও ইস্পাত রফতানি করা হয়েছে। উন্নত তার তৈরির জন্য তামা ও আসবাবপত্র নির্মাণ শিল্পে কাঠের চাহিদা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা জানান, মস্কো ও কায়রো রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের (ইইইউ) সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে একত্রে কাজ করছে। চুক্তিটি আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ চুক্তি সম্পন্ন হলে উভয় দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে বৈচিত্র্য আসবে। মিসর ও ইইইউর মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সমাপ্তি মিসরীয় বাজারে রাশিয়ার পণ্য সরবরাহ আরো সহজ করবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, মিসরে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি রোসাটম। আফ্রিকা মহাদেশে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। ৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে কেন্দ্রটিতে। এ কেন্দ্র স্থাপনের ৮৫ শতাংশ ব্যয় বহন করবে রাশিয়া। এক্ষেত্রে মিসরকে ৩ হাজার কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। প্রকল্পের বাকি টাকা আসবে করপোরেট বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার