বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের (বিসিসিটি) অর্থায়নে গবেষণামূলক ও উদ্ভাবনী প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
তিনি বলেন, অধিক জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রকল্প গ্রহণ করা যায় সে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে সংশোধন করা হবে সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় আইন-কানুন ও নীতিমালা।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন সচিব।
তিনি বলেন, বিসিসিটির কার্যক্রমকে জনগণের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য করতে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বিসিসিটি এবং মন্ত্রণালয়। এ রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এসময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও উদ্যোগী সংস্থাকে এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় ৪৫টি প্রকল্প মূল্যায়নের চূড়ান্ত খসড়া প্রতিবেদন ও সুপারিশসহ বিস্তারিত উপস্থাপন করেন মূল্যায়ন টিমের লিডার জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং প্রশমন প্রকল্পগুলোতে আরও ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য, প্রস্তাব প্রাপ্তি থেকে শুরু করে পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন এবং রিপোর্টিং পর্যন্ত বিসিসিটিকে প্রকল্প পরিচালনা কার্যক্রমকে স্ট্রিমলাইন করার জন্য দ্রুত কাজ করতে হবে। বিসিসিটির ফান্ড ব্যবহার নির্দেশিকাসহ সংশ্লিষ্ট আইন দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করতে হবে।
ড. ফজলে রাব্বি আরও বলেন, দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা, সেই সঙ্গে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রকল্প বা কর্মসূচির অনুমোদন থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত এর কার্যকারিতা এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জয়নাল আবেদিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড আইনুন নিশাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।